স্টাফ রিপোর্টার ::
হাওর অধ্যুষিত সুনামগঞ্জ জেলায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিষয়টি মন্ত্রিসভায় অনুমোদন হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ও তাঁকে অভিনন্দন জানাতে আয়োজিত আনন্দ শোভাযাত্রায় নানা শ্রেণিপেশার মানুষের ঢল নামে। রোববার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত হাওরের রাজধানী উচ্ছ্বসিত মানুষের পদভারে মুখরিত হয়ে ওঠে।
বিশাল আনন্দ শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন হাওর অঞ্চলের উন্নয়নের রূপকার খ্যাত পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। হুডখোলা গাড়িতে লাল-সবুজের পতাকা হাতে হাজার হাজার জনতাকে সঙ্গে নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে আনন্দ শোভাযাত্রা এগিয়ে যায় জেলা স্টেডিয়ামের দিকে। জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মী, প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারী, মুক্তিযোদ্ধা, ছাত্র-শিক্ষাক, ব্যবসায়ী, উন্নয়ন সংস্থার কর্মী, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ নিজেদের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেতে অংশ নেন আনন্দ শোভাযাত্রায়। রঙ-বেরঙয়ের ব্যানার-ফ্যান্টুনে সজ্জিত জনতার মিছিলে মিছিলে একাকার হয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে স্টেডিয়াম পর্যন্ত দীর্ঘ সড়ক।
বিশ্ববিদ্যালয় পাওয়ার আনন্দে উচ্ছ্বসিত সাধারণ মানুষ রাস্তার দুইপাশে দাঁড়িয়ে থেকে করতালি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নানকে অভিনন্দন জানান। তিনিও হাত নেড়ে জনতার ভালোবাসার জবাব দেন।
১১টি উপজেলা থেকেই মিছিলে বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের লোকজন দলে দলে ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে সুনামগঞ্জ শহরে প্রবেশ করেন। শহরের ওয়েজখালি থেকে স্টেডিয়াম পর্যন্ত জনতার উপস্থিতির কারণে যানবাহন বন্ধ হয়ে যায়। এসময় হেঁটেই উল্লসিত জনতা আনন্দ মিছিলে যোগ দেন। তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নানকে অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানান ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন। আনন্দ মিছিলে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দফতরের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন। জেলার ৫জন সংসদ সদস্য, বিভিন্ন উপজেলা চেয়ারম্যানসহ রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃবৃন্দ সদলবলে আনন্দ মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন। এসময় তাদের সমর্থকরাও তাদের নামেও স্লোগান দেন।