দ.সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি ::
সুনামগঞ্জ স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মোহাম্মদ এমরান হোসেন বলেছেন, কোন জনপ্রতিনিধি যদি তার নির্বাচনী এলাকার প্রতিবন্ধী, বিধবা ও বয়স্ক ভাতাসহ ভিজিএফ, ভিজিডি’র চাল নিয়ে অনিয়ম করেন তাহলে ছাড় দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, সরকার অসহায় মানুষের জন্য যে সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে আসছে সেই সুযোগ-সুবিধাগুলো যেন সঠিকভাবে উপযুক্ত মানুষরা পায়। আর এটা না হলে এই বঞ্চিত মানুষগুলোর অভিশাপ আপনারা ভোগ করবেন। সেই সাথে কোন স্বজনপ্রীতি হলে আমরা কোনভাবেই ছাড় দেব না। এরই মধ্যে দুই-একজন চেয়ারম্যান গরিবের হক আত্মসাৎ করার দায়ে বরখাস্তও হয়েছেন। সেটা আপনারা জানেন। তিনি মহামান্য হাইকোর্টে গিয়েও পার পাননি।
সোমবার দুপুরে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার পাথারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজনে ৩নং ওয়ার্ডের উত্তর গাজিনগর গ্রামে স্থানীয় নাগরিকদের নিয়ে ওয়ার্ড সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
ইউপি সদস্য আক্কাস আলীর সভাপতিত্বে ও ইউপি সচিব মীরা চন্দ-এর পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পাথারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আমিনুর রশিদ আমিন, সুনামগঞ্জ জেলা ইএএলজি’র কো-অর্ডিনেটর সৈয়দ নজরুল ইসলাম, এলজিসি’র কো-অর্ডিনেটর মিঠু রঞ্জন দাস, পাথারিয়া ইউনিয়ন কো-অর্ডিনেটর হোসাইন আহমদ, ইউপি সদস্যা মাহবুবা চৌধুরী প্রমুখ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পাথারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আমিনুর রশিদ আমিন বলেন, সকল নাগরিকদের ইউনিয়ন পরিষদের কর প্রদান করতে হবে। কর প্রদান করলে আপনার ওয়ার্ডে বা এলাকায় সেই করের টাকায় উন্নয়ন কাজ করা হবে। আমরা সবাই মিলে একটি সুন্দর ইউনিয়ন গড়তে চাই। আমরা সকলে মিলে বাল্যবিবাহ, যৌতুক, নারী নির্যাতন এবং মাদককে প্রতিরোধ করবো।