স্টাফ রিপোর্টার ::
ছাতক উপজেলার বোকারভাঙা এলাকায় পুলিশের সাথে ডাকাতদের ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনায় এক ডাকাত সর্দার নিহত হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন পুলিশের পাঁচ সদস্য।
পুলিশ জানায়, রোববার দিনগত রাতে লক্ষণদর আলী নামে পুলিশের হাতে গ্রেফতার এক ডাকাত সর্দারকে নিয়ে সোমবার ভোরে অস্ত্র উদ্ধারে গেলে ডাকাতদলের অতর্কিত গুলিবর্ষণ ও পুলিশের পাল্টা গুলিবর্ষণে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
নিহত ডাকাত সর্দার লক্ষণদর ছাতক উপজেলার সিংচাপইড় ইউনিয়নের জিয়াপুর-হবিবপুর গ্রামের মো. কলমদর আলীর ছেলে। সে ১২টি ডাকাতি মামলার পলাতক আসামি ছিল।
রোববার মধ্য রাতে ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মোস্তফা কামালের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা সিংচাপইড় এলাকায় তার অবস্থান শনাক্ত করে সেখানে অভিযান চালিয়ে লক্ষণদরকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসেন। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তার দলের সদস্যদের নিকট বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে বলে স্বীকার করে সে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সোমবার ভোর রাতে ছাতক থানার ওসি মোস্তফা কামালের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা গ্রেফতারকৃত ডাকাত লক্ষণদরকে সাথে নিয়ে বোকারভাঙা এলাকায় অস্ত্র উদ্ধারে গেলে তার সহযোগী ১০/১২ জনের একটি ডাকাতদল আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে পুলিশের উপর গুলিবর্ষণ শুরু করে। এ সময় লক্ষণদরকে সহযোগীর পুলিশের উপর গুলিবর্ষণ করতে করতে পালিয়ে যেতে চাইলে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে ডাকাত সর্দার লক্ষণদরের মৃত্যু হয়।
ওসি জানান, পুলিশ ও ডাকাতদলের মধ্যে ৬০ রাউন্ড গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। এ সময় ডাকাতদের গুলিতে ৫ পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন। তিনি জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।