1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:২৬ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

সরকারি কলেজে ‘বেসরকারি’ বেতন

  • আপডেট সময় সোমবার, ২১ অক্টোবর, ২০১৯

মো. শাহজাহান মিয়া ::
জগন্নাথপুর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী জগন্নাথপুর ডিগ্রি কলেজটি নামে সরকারি হলেও কলেজের সকল সুযোগ-সুবিধা এখনো বেসরকারি রয়ে গেছে। কলেজ সরকারি হলেও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মতো বেতন-ফি। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিভাবকরা। তারা বলেছেন, সরকারি কলেজে পড়েও যদি বেসরকারির নিয়মে বেতন-ভাতা দিতে হয়, তাতে শিক্ষার্থীদের লাভ নেই। তবে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জানিয়েছেন, কলেজটি সরকারি ঘোষণা হলেও এখনো শিক্ষকদের বেতন-ভাতা সরকারি ব্যবস্থাপনায় হচ্ছে না। এ কারণে শিক্ষার্থীদেরও বাড়তি ব্যয় বহন করতে হচ্ছে। এখনো শিক্ষক ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফি ও বেতন বাবদ নেয়া হচ্ছে।
জানাযায়, ১৯৮৭ সালে জগন্নাথপুর পৌর শহরের কেশবপুর বাজার এলাকায় জগন্নাথপুর কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৯৩ সালে কলেজটি এমপিওভুক্ত হয়। সর্বশেষ ২০১৮ সালে কলেজটি সরকারি কলেজে উন্নীত হয়। তবে কলেজটি সরকারি হলেও এখন পর্যন্ত সব ধরনের কার্যক্রম বেসরকারিভাবে চলছে। বর্তমানে জগন্নাথপুর সরকারি কলেজে শিক্ষার্থী সংখ্যা ২৫০০ হাজার। তবে পাঠদানের জন্য রয়েছেন মাত্র ১৮ জন শিক্ষক।
কলেজ শিক্ষার্থী অভিভাবকদের সাথে কথা বলে জানাযায়, প্রতিষ্ঠানটি সরকারি ঘোষণা হওয়ার আগে একজন শিক্ষার্থীর যে বেতন নেওয়া হতো, সরকারি ঘোষণা হওয়ার পরও তা-ই আছে। প্রতিষ্ঠান থেকে বলা হচ্ছে শিক্ষকরা এখনো সরকারি সুযোগ পাননি। মূলত শিক্ষকদের বেতন-ভাতা হয় শিক্ষার্থীদের টাকায়। তাদের সরকারি বেতন চালু হলে শিক্ষার্থীদের থেকে আর বাড়তি ফি নেওয়া হবে না। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে শিক্ষকদের যদি এরিয়ারসহ ঘোষণার দিন থেকে বেতন দেওয়া হয়, তখন কি তারা ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে নেওয়া বাড়তি টাকা ফেরত দেবেন?
জগন্নাথপুর সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, কলেজটি সরকারি হলেও সকল সুযোগ-সুবিধা বেসরকারি রয়ে গেছে। এখনো শিক্ষক ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতা আগের মতো শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফি ও বেতন বাবদ নেয়া হচ্ছে। এ নিয়ে প্রতিনিয়ত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের নানা প্রশ্নের সম্মুখিন হতে হচ্ছে। যে কারণে আমরা বিব্রতকর অবস্থায় রয়েছি। তিনি বলেন, সিলেট বিভাগের অন্য সকল কলেজ থেকে তুলনামূলকভাবে আমাদের কলেজের ফি ও বেতন অনেক কম। ২০১৮ সালে ৩০০টি কলেজের সাথে আমাদের কলেজটি সরকারিকরণ হয়। বর্তমানে যাচাই-বাছাই চলছে। কবে কলেজের সুযোগ-সুবিধা সরকারি হবে আমি জানি না।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com