স্টাফ রিপোর্টার ::
দিরাই উপজেলার কেজাউড়া গ্রামে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে স্বজনদের হাতে শিশু তুহিনকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় তুহিনের বাবা আব্দুল বাছির জড়িত থাকার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন। তিন দিনের রিমান্ড শেষে শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টায় সুনামগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয় আব্দুল বাছিরকে। ১৬৪ ধারায় তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন আদালতের বিচারক মো. খালেদ মিয়া। আদালতে জবানবন্দি দেওয়ার পর কারাগারে পাঠানো হয় তুহিনের বাবা আবদুল বাছিরকে।
পুলিশ জানায়, তিন দিনের রিমান্ড শেষে আবদুল বাছির জবানবন্দি দিতে রাজি হওয়ায় শুক্রবার বিকেলে তাকে আদালতে আনা হয়। পরে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত তিনি আদালতে জবানবন্দি দেন। আবদুল বাছিরের সঙ্গে তার দুই ভাই আবদুল মছব্বির ও জমসেদ আলীও রিমান্ডে ছিলেন। তবে তারা জবানবন্দি দেননি। পরে তিনজনকেই আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও দিরাই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবু তাহের মোল্লা জানান, আবদুল বাছির আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। তবে আদালতে তিনি কী বলেছেন সেটি আমরা জানি না। পরে তিনজনকেই কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
তুহিনের মা মনিরা বেগমের দায়ের করা মামলায় গত মঙ্গলবার তুহিনের বাবা আবদুল বাছির, তিন চাচা আবদুল মছব্বির, জমসেদ আলী ও নাসির মিয়া এবং চাচাতো ভাই শাহরিয়ারকে গ্রেফতার দেখায় পুলিশ। ওই দিনই আদালতের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন নাসির মিয়া ও শাহরিয়ার। বাকি তিনজনকে তিন দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ।
দিরাই উপজেলার কেজাউড়া গ্রামে গত সোমবার সকালে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় শিশু তুহিনকে। কদমগাছের ডালে ঝুলছিল তার নিথর দেহ। তার কান দুটি কাটা ছিল, পেটে ঢোকানো ছিল দুটি ছুরি। তদন্তের পর পুলিশের দাবি, প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে পরিবারের লোকজনই তুহিনকে হত্যা করে।
এদিকে শুক্রবার বিকেলে সিলেটের ডিআইজি কামরুল আহসান ঘটনাস্থল কেজাউড়া গ্রাম পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলেন। এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে এলাকায় বীট পুলিশিং বাড়ানোর কথা জানান। পাশাপাশি এই মামলায় যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে দ্রুত সময়ে চার্জশিট প্রদান করা হবে বলে জানান।