ধর্মপাশা প্রতিনিধি ::
ধর্মপাশা উপজেলার বংশীকণ্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্রী (১৬) বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেয়েছে। রোববার সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ ওবায়দুর রহমানের হস্তক্ষেপে ওই ছাত্রীটি বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পায়।
উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বংশীকুণ্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের একটি গ্রামের দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া ওই ছাত্রীটির সঙ্গে পাশের গ্রামের এক যুবকের (২৬) বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা গতকাল রোববার বেলা দুইটার দিকে সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। স্থানীয় এক সাংবাদিকের মাধ্যমে এই বাল্যবিয়ের খবরটি জানতে পারেন ইউএনও মোহাম্মদ ওবায়দুর রহমান। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে এই বাল্যবিয়েটি বন্ধ করতে মধ্যনগর থানার ওসি সেলিম নেওয়াজের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেন। ওসির নির্দেশে ওই থানার এসআই সোহেল আহমদ রোববার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ওই ছাত্রীটির বাড়িতে গিয়ে বাল্যবিয়ের আয়োজনের সত্যতা পান। বাল্যবিয়ের কুফল ও রাষ্ট্রীয় আইনে এই বিয়ের কোনো স্বীকৃতি নেই এমনটি বুঝিয়ে বলার পর ছাত্রীটির বাবাসহ পরিবারের লোকজন এই বিয়েটি বন্ধ করতে সম্মত হন। এমনকি ১৮ বছরের আগে নিজ মেয়েকে অন্যত্র বিয়ে দেবেন না বলে ছাত্রীটির বাবা লিখিতভাবে অঙ্গীকার করেছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ ওবায়দুর রহমান বলেন, স্থানীয় থানা পুলিশ, গণমাধ্যমকর্মী ও এলাকাবাসীসহ সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার কারণেই দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া ওই ছাত্রীটি বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেয়েছে। এ উপজেলায় বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে উপজেলা প্রশাসন সর্বদা তৎপর রয়েছে।