ধর্মপাশা প্রতিনিধি ::
ধর্মপাশা উপজেলার জয়শ্রী ইউনিয়নের বাসিন্দা ও সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া ছাত্রী (১৩) বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেয়েছে। রোববার সকালে জয়শ্রী ইউপি চেয়ারম্যান সঞ্জয় রায় চৌধুরীর প্রচেষ্টায় ও ছাত্রীটির বড়ভাইয়ের তৎপরতায় ওই ছাত্রীটি বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পায়।
এলাকাবাসী ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া ওই ছাত্রীটির সঙ্গে ধর্মপাশা সদর ইউনিয়নের এক যুবকের (২৫) বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা রোববার বেলা দুইটার দিকে ছাত্রীটির বাড়িতে সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। ওই ছাত্রীটির আপন বড়ভাই সিলেটের একটি বেসরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র। সে তার ছোটবোনকে এই বয়সে বিয়ে না দেওয়ার জন্য তার বাবা-মাকে একাধিকবার অনুরোধ করে। কিন্তু ছেলের অনুরোধে তাঁরা কোনো পাত্তা দেননি। কলেজ ছাত্রের বাবা-মা অনুরোধ রক্ষা না করায় সে তার বোনের বাল্যবিয়েটি বন্ধ করতে মোবাইল ফোনে জয়শ্রী ইউপি চেয়ারম্যান সঞ্জয় রায় চৌধুরীকে এই বিয়ে বন্ধ করতে অনুরোধ করেন। ইউপি চেয়ারম্যান সঞ্জয় রায় চৌধুরী এই বাল্যবিয়ের আয়োজনের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ওই ছাত্রীটির বাড়িতে জয়শ্রী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আয়নুল মিয়া, ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য স্বপন মিয়া, নারীনেত্রী রোকসানা আরাসহ স্থানীয় ১০-১৫জনকে ওই ছাত্রীটির বাড়িতে পাঠান। তাঁরা সেখানে গিয়ে বাল্যবিয়ের আয়োজনের সত্যতা পান। পরে মেয়েটির মাকে বাল্যবিয়ের কুফল ও রাষ্ট্রীয় আইনে এ ধরনের বিয়ের কোনো স্বীকৃতি নেই এমনটি বুঝিয়ে বলার পর ওই ছাত্রীটির মা বাল্যবিয়েটি বন্ধ করতে রাজি হন। এমনকি ১৮ বছরের আগে নিজ মেয়েকে অন্যত্র বিয়ে দেবেন না বলে অঙ্গীকার করেন। তবে ওই সময়ে ছাত্রীটির বাবা বাড়িতে ছিলেন না।
জয়শ্রী ইউপি চেয়ারম্যান সঞ্জয় রায় চৌধুরী বলেন, বাল্যবিয়ে একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া ওই ছাত্রীটির বড় ভাইয়ের তৎপরতার কারণেই তার ছোটবোন এই বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেয়েছে। জয়শ্রী ইউনিয়নে কোনো অবস্থাতেই বাল্যবিয়ে হতে দেওয়া হবে না।