মো. শাহজাহান মিয়া ::
জগন্নাথপুর উপজেলা সদর থেকে সিলেট সড়কের কেউন বাড়ি বাজার পর্যন্ত মাত্র ১৩ কিলোমিটার সড়কের বেহাল দশার কারণে প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন মানুষ। দিনে দিনে সড়কটি ভাঙতে ভাঙতে যেন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন সড়কের কোন না কোন স্থানে ভাঙনকৃত গর্তে দেবে মালবাহী ও যাত্রীবাহী গাড়ি আটকা পড়ছে। এতে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। যে কারণে মানুষের ভোগান্তি বেড়েই চলেছে। তাছাড়া ঘটছে দুর্ঘটনা। যদিও যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী এ সড়কটি দ্রুত মেরামতের দাবিতে পরিবহন ধর্মঘটসহ নানাভাবে আন্দোলন করেছেন ভুক্তভোগী জনতা। তাতেও কাজ হচ্ছে না। এতে দিনে দিনে মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বেড়েই চলেছে। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দাবি সড়কে কাজ চলছে।
জানাগেছে, গত প্রায় কয়েক মাস ধরে জগন্নাথপুর-সিলেট সড়কটি বেহাল দশায় পরিণত হয়। সড়কের অধিকাংশ স্থান ভেঙে গিয়ে যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এতে মানুষের ভোগান্তি বাড়তে থাকে। এক পর্যায়ে প্রতিবাদী হয়ে ওঠেন সাধারণ মানুষ। সড়ক মেরামতের দাবিতে শুরু হয় আন্দোলন। রাস্তায় নেমে আসেন প্রতিবাদী জনতা। পালন করা হয় পরিবহন ধর্মঘটসহ বিভিন্ন কর্মসূচি। অবশেষে আন্দোলনের মুখে জগন্নাথপুর থেকে কেউন বাড়ি বাজার পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার সড়কে সাময়িক মেরামতের কাজ শুরু হয়। এ কাজের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জরুরিভিত্তিতে ১৩ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়। জুলাই মাসের শুরুতে সামান্য কাজ হলেও বন্যার কারণে থেমে যায়। বন্যায় সড়কের বিভিন্ন স্থান পানির নিচে তলিয়ে যায়। তবে গত কয়েক দিন আগে বন্যার পানি কমে যাওয়ায় সড়কের ভাঙনগুলো আবারো ভেসে উঠেছে। বর্তমানে সড়কের গর্তে প্রায়ই ভারি গাড়িগুলো দেবে আটকা পড়ছে। এতে মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই। যে কারণে ভুক্তভোগী জনতার ক্ষোভ বেড়েই চলেছে। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার সড়কে ট্রাক দেবে দীর্ঘ যানজটে ভোগান্তির শিকার হন মানুষ।
এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) গোলাম সারোয়ার বলেন, এ সড়কে কাজ চলছে। তবে জুলাই মাসের প্রথম দিকে সড়কটি মেরামতের জন্য ১৩ লক্ষ টাকা বরাদ্দ আসার পর কাজ শুরু হলেও বন্যা এবং টানা বৃষ্টিপাতের কারণে থেমে থেমে কাজ করতে হয়েছে। এখন পুরোপুরিভাবে কাজ চলছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সড়কের গর্তগুলো আগামী দুই-একদিনের মধ্যে ভরাট করা হবে।