স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রায় এক বছর ধরে ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার নেই। ফলে জরুরি সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন জেলাবাসী। হাসপাতালের জরুরি এই সেবার উন্নতির জন্যও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদ্যোগও লক্ষণীয় নয়। হাসপাতালের স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নের বদলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অন্যান্য বিষয় নিয়ে ব্যস্ত বলে জানা গেছে। তাছাড়া ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার না থাকায় প্রেষণে থাকা চিকিৎসকরা সাধারণ রোগীদেরও সিলেটে রেফার করে দেন। এতে সময় ও অর্থের অপচয় হচ্ছে রোগী ও তাদের স্বজনদের।
জানা গেছে, প্রায় এক বছর সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার নেই। জোড়াতালি দিয়ে বিভিন্ন ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে জরুরি বিভাগে ডাক্তার নিয়ে এসে সাধারণ সেবা চালানো হচ্ছে। ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসাররা অভিজ্ঞ হওয়ায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগে যে কোন রোগেরই প্রাথমিক প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিতে পারেন তারা। এতে রোগীরা উপকৃত হন।
অভিযোগ আছে হাসপাতালের একটি দুর্নীতিবাজ সিন্ডিকেটই চায় না এই হাসপাতালে ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার থাকুক। তারা চায় না কোন ভালো চিকিৎসক থাকুক। এই সিন্ডিকেট নানাভাবে ভালো চিকিৎসকদের মানসিকভাবে হয়রানি করে থাকে এমন অভিযোগও আছে।
এছাড়াও আরো অভিযোগ আছে, স্থানীয় কিছু রোগীর স্বজনরা অনেক সময় ইমার্জেন্সি ডাক্তারদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। ক্ষুব্ধ স্বজনরা সেবা নিয়ে ডাক্তারদের গায়ে হাত তোলাসহ নানাভাবে দুর্ঘটনা ঘটলে এর দায় ইমার্জেন্সি অফিসারদের দোষ দিয়ে লাঞ্ছিত করে। এভাবে কয়েকটি ঘটনাও ঘটেছে সদর হাসপাতালে।
হাসপাতাল এলাকার একজন বাসিন্দা বলেন, সিভিল সার্জন স্থানীয় হওয়ায় আমরা আশা করেছিলাম তিনি জেলার স্বাস্থ্যসেবা বদলে দিবেন। কিন্তু তিনি সদর হাসপাতালসহ অন্য হাসপাতালগুলোর মানোন্নয়ন হয়নি। নতুন হাসপাতালের জন্য যন্ত্র কেনা হলেও রহস্যজনক কারণে সংশ্লিষ্টরা কার্যক্রম চালু করছেন না। কেনা যন্ত্রের মেয়াদ এক দুই বছর হলে সেগুলো চালু না হওয়ায় নষ্ট হয়ে গেছে এই অজুহাত দেখিয়ে যন্ত্র কেনার দুর্নীতি ঢাকতেই নতুন হাসপাতাল চালু হচ্ছেনা বলে অভিযোগ করেন তিনি।
সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রায় এক বছর হয় ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার নেই। তবে হাসপাতালে জরুরি সেবা কখনো বিঘিœত হয়নি। আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জরুরি বিভাগ চালু রাখার জন্য প্রেষণে প্রতিনিয়ত ডাক্তার দিয়ে রেখেছেন। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ২৪ ঘণ্টাই লোকজন সেবা পাচ্ছেন।