স্টাফ রিপোর্টার ::
গত ৮ জুন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক ছাত্র সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার জায়ফরপুর গ্রামের সঞ্জু দেব তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছিলেন, I feel I have lost…/I’ll die before the task is done…/May be my love lacked something…/ May be I was too weak…/May be the God did’t want it.
এই স্ট্যাটাসের চারদিনের মাথায় শহরের মিজান হোটেলের কক্ষ থেকে বুধবার দুপুরে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, প্রেমসংক্রান্ত ব্যর্থতার কারণেই এই মেধাবী যুবক আত্মহত্যা করেছেন। পুলিশের প্রাথমিক ধারণায়ও আত্মহত্যার প্রমাণ মিলেছে। তাছাড়া মৃত্যুপূর্ববর্তী এই স্ট্যাটাসেও ইঙ্গিত দিয়ে গেছেন তিনি। এই মেধাবী শিক্ষার্থী কেন আত্মহত্যা করলেন এ নিয়ে এখন আলোচনা চলছে। স্বজনরা নির্বাক হয়ে গেছেন।
পুলিশ জানায়, গত ১০ জুন হোটেল মিজানের একটি কক্ষ ভাড়া নেন সদর উপজেলার জায়ফরপুর গ্রামের কানাই লাল দেবের ছেলে সঞ্জু দেব। ১১ জুন সারাদিন তিনি রুম থেকে বের হননি। ১২ জুন দুপুর ১২টা পর্যন্ত হোটেল কক্ষ থেকে বের না হওয়ায় সংশ্লিষ্টরা খবর দেন পুলিশে। পুলিশ গিয়ে দরজা ভেঙে ফ্যানের সঙ্গে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে। সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়না তদন্তের জন্য লাশ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় সদর থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, শহরের নবীনগর এলাকার এক তরুণীর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সম্পর্ক চলাকালে ওই তরুণী প্রবাসে চলে যান। এরপর কিছুদিন সম্পর্ক স্বাভাবিক থাকলেও ওই তরুণী তাকে পাশ কাটিয়ে চলতে থাকেন। বছর খানেক আগে তাদের বিচ্ছেদ হয়। এতে ভেঙে পড়েন সঞ্জু। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি বাড়িতেও একবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেন সঞ্জু। সেখানে ব্যর্থ হয়ে গত সোমবার সন্ধ্যায় হোটেল মিজানের একটি কক্ষ ভাড়া নেন। রাতে রুমে প্রবেশের পর তিনি আর বের হননি। মঙ্গলবার সারাদিনও হোটেল কক্ষ থেকে বের হননি। ধারণা করা হচ্ছে মঙ্গলবার রাতেই তিনি ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেন। বুধবার দুপুরে বের না হওয়ায় হোটেলের সংশ্লিষ্টরা পুলিশে খবর দিলে তার লাশ এসে উদ্ধার করে পুলিশ।
সদর থানার ওসি মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ বলেন, ১০ জুন হোটেল কক্ষে অবস্থানের পর সঞ্জু দেব আর বের হননি। আমাদের মনে হয়েছে ১১ জুন রাতেই তিনি আত্মহত্যা করেছেন। আমাদের প্রাথমিক ধারণায় আত্মহত্যার প্রমাণ মিলেছে। এ ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।