স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জ শহরের মল্লিকপুরে এক দিনমজুর বিধবা নারীর প্রথম শ্রেণি পড়–য়া কন্যাকে চকলেট দেওয়ার কথা বলে বসতঘরে নিয়ে ধর্ষণ করেছে এক বখাটে। শনিবার রাত ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে। রোববার রাত ৮টায় নিজের মেয়েকে বখাটের পরিবার ও স্থানীয় মোড়লদের চোখরাঙানি উপেক্ষা করে বিধবা দিনমজুর নারী সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছেন। এ ঘটনায় বখাটের পরিবার মামলা না করার জন্য হুমকি-ধমকি দিচ্ছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাত ৮টার দিকে নিজ বসত-বাড়ির রাস্তায় ছিল বিধবা দিনমজুর নারীর পিতৃহীন কন্যা। এসময় প্রতিবেশী তেরাব আলীর বখাটে ছেলে রুহুল আমিন (১৮) ওই শিশুকে চকলেট দেওয়ার কথা বলে তার বসতঘরে ডেকে নেয়। ওইসময় ওই বসতঘরে কেউ ছিলনা। এই সুযোগে তাকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে বখাটে রুহুল আমিন। আসার সময় এ ঘটনা কাউকে খুলে না বলার জন্য হুমকি দেয়। পরে ওই শিশুকন্যা নিজ বসতঘরে এসে ঘুমিয়ে পড়ে। রাতে তার জ্বর ওঠে ও প্রচ- ব্যথা শুরু হয়। দিনমজুর বিধবা মা ঘটনা জানতে চাইলে সে বখাটের হুমকির বিষয়টি মনে করে চেপে যায়। রোববার বিকেলে মেয়েটি তার ভাবীর কাছে এ ঘটনা খুলে বললে ওই নারী তাৎক্ষণিকভাবে শিশুর মাকে বিষয়টি জানান। এসময় তিনি মেয়েকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে আসতে চাইলে রুহুল আমিনের স্বজনরা তাদেরকে হাসপাতালে আসতে বারণ করে। এক পর্যায়ে তাদের অবরুদ্ধ করে রাখে। এ সময় আশপাশের মানুষ জড়ো হলে তারা অসুস্থ মেয়েকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার কথা বলেন। এই খবর মহিলা পরিষদ ও স্থানীয় কাউন্সিলর জানতে পারায় ভিকটিমের মাকে হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার কথা জানান। অবশেষে রোববার রাত ৮টার দিকে শিশু কন্যাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছেন মা। এদিকে মেয়েকে হাসপাতালে ভর্তি করার পর বখাটের পরিবার হুমকি ধমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
ওই শিশুকন্যার মা বলেন, আমার মেয়েকে চকলেট দেওয়ার কথা বলে বখাটে রুহুল আমিন ধর্ষণ করেছে। রাতে মেয়ের প্রচ- জ্বর ওঠে। ব্যথায় কাতরায়। আজ (রোববার) বিকেলে আমার এক বউয়ের কাছে ঘটনা বলার পর আমি হাসপাতালে নিয়ে এসেছি। তবে হাসপাতালে আসতে আমাকে বারণ করা হয়েছে এবং হুমকি দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় কাউন্সিলর আহমেদ নূর বলেন, আমি এলাকার বাইরে ছিলাম। ওই অসহায় নারী আমাকে বিষয়টি ফোনে বলার পর আমি তার মেয়েকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর জন্য বলেছি। পাশাপাশি আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলেছি।
সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, একটু আগে খবর পেয়েছি। আমি হাসপাতালে পুলিশ পাঠিয়েছি। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।