শহীদনুর আহমেদ ::
পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান এমপি বলেছেন, আমাদের অনেক দূর যেতে হবে। সামনে অনেক কাজ। আমরা কয়েকটি ক্ষেত্রে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। শিক্ষা ও অবকাঠামো ক্ষেত্রে বেশি বেশি বিনিয়োগ করতে হচ্ছে। শিক্ষার অনুপস্থিতি মানুষকে মানসিকভাবে বিচ্ছিন্ন করে দেয়। আর অনুন্নত অবকাঠামো মানুষকে শারীরিকভাবে পিছিয়ে দেয়। কাজেই এই দুই ক্ষেত্রের উন্নয়নে সরকার কাজ করছে। অসংখ্য প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় নির্মাণ করা হয়েছে। একুশ শতকের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে সরকার জ্ঞান-বিজ্ঞানের উপর বেশি জোর দিচ্ছে। আমাদের সরকার শিক্ষার উন্নয়নে ঝুঁকি নেয়। ঝুঁকি নিয়ে এগিয়ে যায় দ্রুত গতিতে। যা নিয়ে অনেকেই সমালোচনা করে। তাদের উদ্দেশ্য বলবো- ঝুঁকি নিয়ে উন্নয়ন করা আমাদের সরকারের অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
শনিবার বিকেলে শহরের শহীদ আবুল হোসেন মিলনায়তনে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ আয়োজিত আলোচনা সভা, সংবর্ধনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী এমএ মান্নান আরো বলেন, সুনামগঞ্জে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হবে। যা এই বাজেট অধিবেশনের পরের অধিবেশনে পাস করা হবে।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ডিসি-এসপি হওয়ার জন্য নিজের বিবেক বিক্রি করো না। ঝাড়ফুঁকের যুগ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। ভাবতে হবে খোলা মনে। প্রতিবাদী হতে হবে। অন্যায়কে অন্যায় বলতে হবে। যে শিক্ষা হলিআর্টিজানের দরজা বন্ধ করে বিদেশিদের জবাই করার শিক্ষা দেয় তা নিঃসন্দেহে লজ্জার। বিজ্ঞানমনস্ক দেশে প্রবেশ করতে হবে। মৌলিক চিন্তা করতে হবে। নিজের পরিচয়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করতে হবে। কেননা বাঙালি অমানিশার শেষ প্রহরে আছে। আমরা শীঘ্রই পাড়ে পৌঁছাবো। একটি বিজ্ঞানমনস্ক দেশ গঠনে সবার সহযোগিতা চান মন্ত্রী।
সুনামগঞ্জের উন্নয়নের ব্যাপারে মন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, আমাকে কাজ করতে দিন। আমি আঞ্চলিকতায় বিশ্বাসী নই। সুনামগঞ্জের বহুমুখী উন্নয়ন সাধিত হচ্ছে। সুনামগঞ্জ আমাদের শহর। বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে, নার্সিং ইন্সটিটিউট নির্মাণাধীন, হেলথ টেকনোলজি ইন্সটিটিউট নির্মাণাধীন, বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ করা হবে। আগামী দুই বছরের মধ্যে রেল সুনামগঞ্জে আসবে। রেলের প্রকল্প একনেকে পাস করে আমি মরবো, এটা আমার বিশ্বাস। ময়মনসিংহের সাথে সুনামগঞ্জের সড়ক যোগোযোগ ব্যবস্থা চালু করা হবে। এই সরকারের আমলেই সুরমা নদীর উপরে হালুয়ারঘাট-ধারারগাঁও ব্রিজ নির্মাণ হবে।
সংগঠনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. বজলুল মজিদ চৌধুরী খসরু’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিরোধী দলীয় হুইপ ও সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাড. পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শরিফুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হায়াতুননবী, সিভিল সার্জন ডা. আশুতোষ দাস।
সংগঠনের সদস্য মাহমুদুর রহমান তাহমিদের সঞ্চালনায় এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী আশহার তাহবির, আবু সাদাত মো. সায়েম, ফরহাদ শাহী আফিন্দী প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়া ১২৪ জন শিক্ষার্থীকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।