সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা শেষে আড়াই মাস পর দেশে ফিরলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বুধবার ৫টা ৫০ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান কাদের।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক ও নৌমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আহমেদ হোসেন, সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দীনসহ আওয়ামী লীগের নেতারা বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান।
এরপর বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি আবেগ ভরা কণ্ঠে তার চিকিৎসার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে অশেষ কৃতজ্ঞতা জানান। ওবায়দুল কাদের বলেন, তাকে (প্রধানমন্ত্রী) বলা হয় মাদার অব হিউম্যানিটি। সেই তার কাছে আমি অশেষ ঋণে বাঁধা পড়ে গেলাম।
তার খোঁজ-খবর রাখায় এবং সুস্থতা কামনায় কোরআন শরিফ পড়ে মোনাজাত করায় বঙ্গবন্ধুর অপর কন্যা শেখ রেহানার কাছেও অশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ওবায়দুল কাদের। এছাড়াও দলের সব নেতাকর্মীসহ যারা তার খোঁজ-খবর রেখেছেন, সুস্থতা কামনা করে দোয়া করেছেন, সবার প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা জানান সেতুমন্ত্রী।
৬৭ বছর বয়সী ওবায়দুল কাদের হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ছাড়াও শ্বাসতন্ত্রের জটিল রোগ সিওপিডিতে (ক্রনিক অবসট্রাকটিভপালমোনারি ডিজিজ) ভুগছেন।
গত ২ মার্চ সকালে শ্বাসকষ্ট নিয়ে ঢাকার বিএসএমএমইউতে ভর্তি হলে এনজিওগ্রামে কাদেরের হৃদপি-ের রক্তনালীতে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর মধ্যে একটি ব্লক স্টেন্টিংয়ের মাধ্যমে অপসারণ করেন চিকিৎসকরা। অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ৪ মার্চ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। ভর্তি করা হয় মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে। কয়েকদিন চিকিৎসার পর অবস্থার উন্নতি হলে গত ২০ মার্চ কার্ডিও থোরাসিক সার্জন ডা. শিভাথাসান কুমারস্বামীর নেতৃত্বে কাদেরের বাইপাস সার্জারি হয়। ছয় দিন পর তাকে আইসিইউ থেকে স্থানান্তর করা হয় কেবিনে। এক মাস পর হাসপাতাল ছাড়লেও চিকিৎসকরা ‘চেকআপের জন্য’ আরও কিছু দিন তাকে সিঙ্গাপুরে থাকার পরামর্শ দেন। এরপর একটি বাসা ভাড়া করে সিঙ্গাপুরে অবস্থান করেন ওবায়দুল কাদের।