স্টাফ রিপোর্টার ::
ছাতকে সুরমা নদীতে চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে ছাতক পৌর শ্রমিক লীগ সদস্য শাহাবুদ্দিন (৪৫) নামের একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এ ছাড়াও গুলিতে ছাতক থানার ওসি ও চার পুলিশসহ অন্তত অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৪ মে) রাত ৯টার দিকে ছাতক পৌর শহরে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ ২৮ জনকে আটক করেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ছাতকে সুরমা নদীতে বালু-পাথরবাহী নৌকা থেকে চাঁদা উত্তোলন ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মেয়র কালাম চৌধুরী ও তার কাউন্সিলদের সঙ্গে শামীম চৌধুরী পক্ষের বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এর জের ধরে দুই পক্ষ রাত ৯টার দিকে সংঘর্ষে জড়ায়। এ সময় দেশীয় অস্ত্রের সঙ্গে দুই পক্ষই বন্দুক নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। প্রায় আধা ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ৩০ জন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত অর্ধশত আহত হয়। গুলিবিদ্ধ আহতদের মধ্যে ছাতক থানার ওসি, দুই এসআইসহ একজন কনস্টেবলও রয়েছেন। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ শাহাবুদ্দিন সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাত ১২টার দিকে মারা যান।
এছাড়া গুলিবিদ্ধ আহত অন্তত ২০ জনকে ছাতক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বেশ কয়েকজনকে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে সংঘর্ষের খবর পেয়ে ছাতক থানার ওসি ঘটনাস্থলে গিয়ে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে নিজেই গুলিবিদ্ধ হন।
ছাতক থানার ওসি গোলাম মোস্তফা বলেন, সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও ফাঁকা গুলি ছুড়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে তিনিও আহত হয়েছেন বলে জানান। গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন নিহতের খবরটিও তিনি নিশ্চিত করেছেন।
সহকারি পুলিশ সুপার (ছাতক সার্কেল) মো. বিল্লাল হোসেন জানান, নদীতে চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে। এতে এক পক্ষের গুলিতে শাহাবুদ্দিন নামের একজন মারা গেছেন। পুলিশ এ পর্যন্ত ২৮ জনকে আটক করেছে। থানায় এ ঘটনায় দুটি মামলা হবে। একটি করবে পুলিশ, অন্যটি নিহত ব্যক্তির পরিবার। মামলা প্রক্রিয়াধীন।