1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৩৫ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

ধর্ষকের বিচার করার কঠোর আইনি ব্যবস্থা চাই অচিরেই

  • আপডেট সময় শনিবার, ৪ মে, ২০১৯

ভীষণ বিরক্তিকর শিরোনাম। অন্তত আমাদের তাই মনে হয়। ভাবতে অবাক লাগে, ইসলামের আবির্ভাবের প্রায় তেরোশ’ (হিসেব মতে ৬১০ থেকে ২০১৯ খ্রি. পর্যন্ত ১৩০৯) বছর পর বাংলাদেশের মতো ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের দেশে সংবাদ শিরোনাম করা হয়, ‘দীঘিরপাড় দাখিল মাদ্রাসা ॥ কর্মচারীর বিরুদ্ধে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ’। একজন মাদ্রাসার চতুর্থশ্রেণির কর্মচারী এমন অপরাধের সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত করতেই পারেন। কিন্তু বিস্ময়ে অভিভূত হয়ে যেতে হয় যখন মাদ্রাসার বদনাম হবে, ভাবমূর্তি ক্ষুণœ হবে, এই অজুহাত দেখিয়ে মাদ্রাসার অধ্যক্ষসহ শিক্ষকগণ ঘটনা চাপা দেওয়ার নির্দেশ দেন, হয়রানির শিকার ছাত্রীর পিতাকে এবং ঘটনা অবগতির পর পরিচালনা কমিটিও কর্মচারীটির বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ থেকে বিরত থাকেন। অথবা কোথাও বিচারের নামে সালিস বসিয়ে প্রকারান্তরে ধর্ষককে সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হয়। গতকালের দৈনিক প্রথম আলোর একটি সংবাদশিরোনাম ছিল, ‘ধর্ষণের বিচার হয় না, সালিস হয়’।
কীছু দিন আগে আরেক মাদ্রাসা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে এক তরুণীর সঙ্গে দীর্ঘ দশ বছর অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক রাখার অভিযোগ ওঠে এবং তরুণীর বয়সের হিসেব থেকে জানা যায় যে, এই সম্পর্কটি বছর তিনেক আগে আইনানুযায়ী ধর্ষণের অপরাধ বলে পরিগণিত ছিল। এই অধ্যক্ষের সহমর্মী শিক্ষকরা খারাপ কথা শুনা ও বলা দু’টিই গুনাহর কাজ বলে এই ঘটনাটিকেও ধামাচাপা দিতে চেষ্টা করেছিলেন। এই ক’দিন আগের ঘটনা। মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাতকে মাদ্রাসার অধ্যক্ষের নির্দেশে তাঁকে মাদ্রাসার ছাদে নিয়ে গিয়ে হাতপামুখ বেঁধে তার দেহে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পুড়িয়ে মেরে ফেলা হয়। মাদ্রাসার শিক্ষক, সরকারি দলের তথাকথিত সদস্য ছাত্রছাত্রীকে এই অধ্যক্ষের পক্ষে মানববন্ধন করতে রাস্তায় নামিয়ে দেন। তার আগে নুসরাতের অভিযোগ থানা গ্রহণ করে না, উল্টো তাকে অপমান করে তাড়িয়ে দেয়। এই হত্যাকা-ের সঙ্গে এমনকি বিচার বিভাগের এক লোকেরও সম্পৃক্ততা আবিষ্কৃত হয়।
বলছিলাম এতদসংক্রান্ত সংবাদ শিরোনামগুলো বিরক্তিকর। বিরক্তিকর এজন্য যে, অনবরত এসব ঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়ত এবং ঘটনাগুলোকে ধামাচাপা দেওয়ার অধর্ম চর্চায় কতিপয় সমাজবিরোধী সোল্লাসে তৎপর হয়ে পার পেয়ে যাচ্ছে বার বার, সমাজ ও প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। অসহায় মানুষের পক্ষে দাঁড়াচ্ছে না কেউ। ধর্মের বিধান অনুসারে যাদের কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত তারা পার পেয়ে গিয়ে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছে দিন দিন। পত্রপত্রিকায় লেখা হচ্ছে। কোনও সুরাহা হচ্ছে না। বলতে গেলে দেড় হাজার বছর আগে ইসলাম যে সমস্যার সমাধান করে রেখেছে কঠোর ধর্মীয় বিধান জারির মাধ্যমে সেটাকে ধামাচাপা দিচ্ছে ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে যাঁরা, এখানে মাদ্রাসার শিক্ষক-মাওলানা, বেশি জানেন তাঁরাই। আগে যেমন ছিল এখন তেমন ধর্ষণের ঘটনা, অস্বীকার করার কোনও উপায় অবশিষ্ট নেই। এখন ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে অপরাধীকে সুনিশ্চিতভাবে চিহ্নিত করা সম্ভব। কেবল আইনগতভাবে সেটাকে কার্যকর করার ব্যবস্থা নিতে হবে। আসলে একটা কীছু চূড়ান্ত প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে না তোললে এমনতর ঘটনা অহরহ সংঘটনের পথ খোলাই থাকবে। ধর্ষণের ঘটনা এমন বেড়েছে যে, গত ক’দিন আগে একজন সংসদ সদস্য জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে ধর্ষণ প্রতিরোধের কার্যকর ব্যবস্থা হিসেবে প্রকাশ্যে ফায়ারিং স্কোয়াডে ধর্ষককে মেরে ফেলার ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তাব করেছেন।
বক্তব্য এর বেশি দীর্ঘ করার অবকাশ আপাতত নেই। পরিশেষে কেবল আমাদের এই বলার আছে যে, ধর্ষকের বিচার করার কঠোর আইনি ব্যবস্থা চাই অচিরেই।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com