স্টাফ রিপোর্টার ::
দক্ষিণ সুনামগঞ্জে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও বকেয়া বিদ্যুৎ আদায়ে পরিচালিত অভিযানে হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলকারীরা বিদ্যুৎ অফিসের আবাসিক প্রকৌশলী ও কর্মীদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিতের পাশাপাশি ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক জব্দকৃত মালামাল লুটেরও চেষ্টা চালায়। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন দিরাই বিদ্যুৎ অফিসের আবাসিক প্রকৌশলী নূর মোহাম্মদ তারেক।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, সিলেট বিদ্যুৎ আদালতের নির্দেশে গত ১৬ এপ্রিল সুনামগঞ্জ জেলার দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালতসহ অভিযানে নামে বিদ্যুৎ বিভাগ। আভিযানিক দলটি অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণ, দীর্ঘদিন ধরে বকেয়া বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ না করায় অনেকগুলো লাইন বিচ্ছিন্নসহ মালামাল জব্দ করে। ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশসহ ফেরার পরে বিদ্যুৎ বিভাগের আবাসিক প্রকৌশলীর নেতৃত্বে কর্মীরা জব্দকৃত মালামাল নিয়ে আসার পথে দক্ষিণ সুনামগঞ্জের নোয়াখালি বাজারে বকেয়া বিলের কারণে লাইন বিচ্ছিন্ন করে আসা কয়েকজন গ্রাহকের ক্ষোভের মুখে পড়েন। বগলাখাড়া গ্রামের রুকনুজ্জামানের অটোরাইস মিলের বকেয়া বিলের কারণে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে আসছিল আভিযানিক দল। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে রোকনুজ্জামান উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রয়েল মিয়াকে নিয়ে নোয়াখালি বাজারে একটি রেস্টুরেন্টে বিদ্যুৎ বিভাগের লোকদের ওপর অতর্কিত হামলা করে। এতে আহত হন আবাসিক প্রকৌশলী নূর মোহাম্মদ তারেক ও ইলেকট্রিশিয়ান শফিকুলসহ কয়েকজন। এসময় ধস্তাধস্তি করে ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক জব্দকৃত মালামাল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হলে স্থানীয় লোকজন এসে তাদের উদ্ধার করেন। লাঞ্ছিত আবাসিক প্রকৌশলী বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেন। রাতে তিনি দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।
আবাসিক প্রকৌশলী নূর মোহাম্মদ তারেক বলেন, আমরা সরকারি কাজ বাস্তবায়ন করতে এসে আক্রমণের মুখে পড়েছি। আমাকে ও আমার কর্মীকে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। এ ঘটনায় সাধারণ ডায়েরি করেছি। বিদ্যুৎ আইন ২০১৮ এর ৩৫ ধারায় আসামিরা দ-নীয় অপরাধ করেছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আমি আবেদন করেছি।
দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, মঙ্গলবার রাতে আমার কাছে একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন আবাসিক প্রকৌশলী। আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।