কথায় বলে আশায় বসতি। আশা নেই তো বাসা নেই। মানুষ স্বপ্ন দেখে এবং স্বপ্ন দেখে দেখে স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে করতে বেঁচে থাকে। এই বাঁচাই প্রতিকূল প্রকৃতির সঙ্গে সংগ্রাম, যাকে বলে যোগ্যতমের টিকে থাকা। বাংলাদেশ একদিন পদ্মাসেতুর স্বপ্ন দেখেছিল। সে-স্বপ্ন বাস্তবায়নে বড় বাধা ছিল সাম্রজ্যবাদ। বিদেশি চক্রান্তকারীদের সঙ্গে সা¤্রাজ্যবাদের দেশীয় দলালরা এই সেতুটির বাস্তবায়নের প্রক্রিয়াকে স্বাধীনতার পর থেকেই নানা বাহানা-কৌশলে পিছিয়ে রেখেছিল। এই সেতুর বিনির্মাণ ঠেকিয়ে দেওয়ার অর্থ হলো বাংলাদেশের উন্নয়নকে ঠেকিয়ে দেওয়া। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সোনার বাংলার রাজনীতিক স্বপ্নদ্রষ্টা বঙ্গবন্ধু তনয়ার জেদ এই চক্রান্তটিকে পরাস্ত করতে সক্ষম হয়েছে। বাংলাদেশ সকল বাধা ডিঙিয়ে সেতুবাস্তবায়নের স্বপ্ন ঠিকই পূর্ণ করেছে, উন্নতির পথকে খোলে দিয়েছে। এখন বাংলাদেশ তথা ভাটিবাংলা স্বপ্ন দেখছে একটি উড়াল সেতুর। সেতুটি নির্মিত হবে সুনামগঞ্জ থেকে নেত্রকোণা পর্যন্ত। সে-স্বপ্ন আশা করি পূর্ণ হবে। কোরআনের একটি আয়াত আছে, যার বঙ্গান্তর হলো, মানুষ যা চেষ্টা করবে তা ব্যতীত কীছুই পাবে না। অর্থাৎ চেষ্টার অতিরিক্ত কীছু মানুষ কখনও অর্জন করতে পারে না। কাজ না করে কীছু আশা করা বৃথা।
গত শনিবারের দৈনিক সুনামকণ্ঠের একটি সংবাদশিরোনাম ছিল, ‘সুনামগঞ্জ থেকে নেত্রকোণা পর্যন্ত ফ্লাইওভার নির্মিত হবে’। পত্রিকায় লেখা হয়েছে, ‘পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাওরের মানুষের দুঃখ-কষ্ট উপলব্ধি করে হাওর অঞ্চলের উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে নানামুখী কাজ করছেন। তাঁর নির্দেশেই সুনামগঞ্জ থেকে নেত্রকোণা আসতে ফ্লাইওভার নির্মাণ করার পরিকল্পনা করেছে সরকার। বর্তমান সকারের সময়েই তা বাস্তবায়ন করা হবে।’
তারপর আমাদের আর কীছু বলার আছে বলে মনে করি না। কেবল কাজ শুরু ও শেষ হওয়ার অপেক্ষায় থাকা। দীর্ঘসূত্রিতার ফাঁদে না পড়ার আশা পোষণ করে আমরা অপেক্ষায় রইলাম।
আমাদের স্বপ্নবাজ প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘায়ু কামনা করি। তাঁর সকল স্বপ্ন পূর্ণ হোক। তাঁকে অভিনন্দন। তাঁর মুখে ফুলচন্দন পড়ুক।