স্টাফ রিপোর্টার ::
বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) উদ্ভাবিত আউশ ধানের জাতসমূহের পরিচিতি, চাষাবাদ পদ্ধতি ও সম্প্রসারণ কৌশল প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে জেলা বিনা উপকেন্দ্রের প্রশিক্ষণ হল রুমে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বশির আহম্মদ সরকার।
বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ফারুক হোসেনের পরিচালনায় কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের গবেষণা অণুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব কমলারঞ্জন দাশ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ময়মনসিংহ বিনা পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. লুৎফুর রহমান, ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মাহমুদুল ইসলাম নজরুল, জেলা বিনা-এর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত সচিব কমলারঞ্জন দাশ বলেন, আমাদের কৃষিখাতে উন্নয়ন করতে হবে। সুনামগঞ্জের মানুষকে কৃষি ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ দিতে হবে। আমাদের এখানে অনেক পতিত জমি রয়েছে। সেগুলো আমাদের কাজে লাগাতে হবে। কারণ পতিত জমি পড়ে থাকলে দেশের ক্ষতি হবে। সেগুলোকে যদি আমরা চাষাবাদ করি তাহলে মাটির উর্বরতাও বৃদ্ধি পাবে।
তিনি আরো বলেন, এই জেলার মানুষদের এক ফসলি ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। বোরো ধানের পাশাপাশি অন্যান্য কিছু চাষাবাদ করতে হবে। আমরা আমাদের বিনা উদ্ভাবিত আউশ ধানের জাতের পরিচয় করিয়ে দিয়েছি। সেগুলো যদি আমরা সঠিক সময়ে ব্যবহার করতে পারি তাহলে আমরা সোনার ফসল ঘরে তুলতে পারবো।
তিনি বলেন, শুধু ধান নয়, আমাদের আলু, পটল, বাঁধাকপি, ফুলকপি, চিনাবাদাম, তরমুজ চাষ করতে হবে। যখন ধানের মৌসুম থাকবে না সেসময় ঘরে বসে থাকলে হবে না, সেসময় অন্য কিছু চাষাবাদ করতে হবে। চাষাবাদ করতে যা যা প্রয়োজন হবে কি কি জিনিসপত্র সার প্রয়োজন সেগুলো আমাদের কৃষি অফিসারদের কাছ থেকে জেনে নিবেন।
আলোচনা সভা শেষে বিনামূল্যে ২ জনের মধ্যে বীজধান বিতরণ করেন অতিথিরা।