1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৪২ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

বিদ্রোহীদের নিয়ে চিন্তিত আ.লীগ

  • আপডেট সময় বুধবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

বিশেষ প্রতিনিধি ::
দলীয় প্রার্থীদের চ্যালেঞ্জ করে জেলার ৮টি উপজেলায় আওয়ামী লীগের ১৬ জন বিদ্রোহী প্রার্থী মাঠে রয়ে গেছেন। তাহিরপুর ও দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলায় আওয়ামী লীগের কোন বিদ্রোহী প্রার্থী না থাকায় অনেকটা নিশ্চিন্ত আছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীরা। তবে অন্য ৮টি উপজেলায় মনোনয়নবঞ্চিত আ.লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের এই নেতৃবৃন্দ মনোনয়ন চূড়ান্ত হওয়ার পর এখন মাঠেও সক্রিয় কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। দলীয়ভাবে তাদেরকে মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য বলা হলেও তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করানো যায়নি। যে কারণে দলীয় প্রার্থীরা চিন্তিত আছেন।
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায় মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি আওয়ামী লীগের তিন বিদ্রোহী প্রার্থী। আ.লীগ মনোনীত প্রার্থী খায়রুল হুদা চপলের সঙ্গে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে লড়াইয়ে আছেন সদর উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক মোবারক হোসেন, জেলা যুবলীগের সাবেক নেতা এবং সরকারি কলেজের ভিপি অ্যাড. মণীষ কান্তি দে মিন্টু এবং যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ নেতা রাশেদ বখত নজরুল। এই উপজেলায় বিএনপি’র কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেননি। ফলে বিদ্রোহীদের নিয়েই চিন্তিত আছেন আ.লীগের নেতাকর্মীরা।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি প্রভাষক মোশারফ হোসেন ইমন মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন গতকাল। এই উপজেলায় আ.লীগের প্রার্থী রফিকুল ইসলাম তালুকদারের সঙ্গে মাঠে আছেন বিদ্রোহী প্রার্থী সফর উদ্দিন। তাকে শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
জামালগঞ্জ উপজেলায় আ.লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী ইউসুফ আল আজাদের সঙ্গে মাঠে আছেন বিদ্রোহী প্রার্থী জেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি রেজাউল করিম শামীম। রেজাউল করিম শামীম তৃণমূল আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে কেন্দ্রে প্রস্তাব করা হয়েছিল। মনোনয়নবঞ্চিত হয়ে তিনি শেষে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন। তাকে শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করছেন রাজনৈতিক মহল।
ধর্মপাশা উপজেলায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী শামীম আহমদ মুরাদের সঙ্গে তিনজন বিদ্রোহী প্রার্থী মাঠে আছেন। যুবলীগ নেতা মোজাম্মেল হোসেন রোকন, আ.লীগ নেতা ফখরুল ইসলাম চৌধুরী ও উপজেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমেদ বিলকিস মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। ফলে চিন্তিত আছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী শামীম আহমদ মুরাদ।
দোয়ারাবাজার উপজেলায় আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ডা. আব্দুর রহিমের সঙ্গে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মাঠে আছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের একাংশের সভাপতি ফরিদ আহমেদ তারেক ও আওয়ামী লীগ নেতা দেওয়ান আল তানভির আশরাফি। ফরিদ আহমেদ তারেক আলোচিত প্রার্থী হিসেবে মাঠ গরম করে রেখেছেন।
শাল্লা উপজেলায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আল আমিন চৌধুরীর সঙ্গে মনোনয়নবঞ্চিত সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অবনী মোহন দাস শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত। তাকে নিয়ে চিন্তিত আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা।
দিরাই উপজেলায় আওয়ামী লীগের তিন বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী মাঠে সক্রিয় আছেন। দলীয় প্রার্থীকে চ্যালেঞ্জ করে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি আওয়ামী লীগের তিনজন বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলা আ.লীগের সাবেক সভাপতি আলতাব উদ্দিন, জেলা আ.লীগ নেতা কামরুল আলম চৌধুরী ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রঞ্জন রায় বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন।
ছাতক উপজেলায় আ.লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. ফজলুর রহমানের সঙ্গে মনোনয়ন জমাদানকারী এক বিদ্রোহী আওলাদ আলী রেজা মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিলেও অপর বিদ্রোহী ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান অলিউর রহমান চৌধুরী বকুল মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। তিনি মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। তিনিও একজন শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com