1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৩৫ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

১৯ জানুয়ারি জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন

  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০১৯

সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
আগামী ১৯ জানুয়ারি শনিবার সারাদেশে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন পালিত হবে। এদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুদের ১টি নীল রঙের (১ লক্ষ আই,ইউ) এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের ১টি লাল রঙের (২ লক্ষ, আই,ইউ) উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
ক্যাম্পেইন উপলক্ষে সুনামগঞ্জে অবহিতকরণ ও পরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সিভিল সার্জন কার্যালয়ের আয়োজনে ইপিআই ভবনের সম্মেলন কক্ষে সোমবার অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন সিভিল সার্জন ডা. আশুতোষ দাশ। রিসোর্সপার্সন হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য বিভাগ সিলেটের পরিচালক ডা. পু চ নু, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ প্রমুখ। সভায় স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কর্মকর্তাসহ জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, এনজিও প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
জানাযায়, ১৯ জানুয়ারি সুনামগঞ্জ জেলার মোট ২২১৭টি টিকাদান কেন্দ্রে সকাল ৮টা হতে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ক্যাম্পেইন চলবে। বিকাল ৪টার পর যে কোন ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য ক্যাম্পেইন পরবর্তী সময় হতে ঐ দিন সারারাত প্রতিটি উপজেলার সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী স্বস্ব স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দায়িত্ব পালন করবেন এবং সার্বক্ষণিক মোবাইল ও জরুরি বিভাগে মেডিকেল টিম কর্মরত থাকবে। ১৯ জানুয়ারি জেলা সিভিল সার্জন অফিসে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন মনিটরিংয়ের জন্য সার্বক্ষণিক একটি কন্ট্রোল রুম চালু থাকবে।
উল্লেখ্য, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান ১৯৭৪ সাল থেকে জাতীয়ভাবে শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এ কার্যক্রমের ফলে ৬-৫৯ মাস বয়সী শিশুদের কভারেজ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৭ সালে শতকরা ৯৯ ভাগে উন্নীত হয়েছে।
অপুষ্টিজনিত অন্ধত্ব প্রতিরোধে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ছিল রাতকানার শতকরা হার ১ ভাগের নিচে নামিয়ে আনা।
ইতোমধ্যে বাংলাদেশে সে লক্ষ্য পুরোপুরি অর্জিত হয়েছে। সর্বশেষ জরিপ অনুযায়ী বাংলাদেশে বর্তমানে ভিটামিন ‘এ’ অভাবজনিত রাতকানার হার শতকরা ০ দশমিক ০৪ ভাগ। তাছাড়া ভিটাামিন ‘এ’ শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং শিশুমৃত্যুর ঝুঁকি কমায়।
অপুষ্টিজনিত অন্ধত্ব প্রতিরোধে এই অর্জিত হার ধরে রাখা অথবা তা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা এবং শিশুর রোগ প্রতিরোধে ক্ষমতা বৃদ্ধি করে শিশুমৃত্যুর ঝুঁকি কমানোর লক্ষ্যে বছরে ২ বার ৬-১১ মাস বয়সী শিশুদের ১টি নীল রঙের (১ লক্ষ আই,ইউ) এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুদের ১টি লাল রঙের (২ লক্ষ, আই,ইউ) উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন ভিটামিন ‘এ’ খাওয়ানোর কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া একান্ত জরুরি।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com