স্টাফ রিপোর্টার ::
বরুণ রায় ছিলেন সাধারণ মানুষের নেতা। জমিদার হয়েও আরাম আয়েশে না থেকে জীবনে বেশির ভাগ সময় সাধারণ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করেছেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন সৎ নির্লোভ, দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদ।
শনিবার সন্ধ্যায় শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাঠাগারে আয়োজিত মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সাবেক সংসদ সদস্য প্রসূনকান্তি বরুণ রায়ের ৯ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে স্মরণ সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা।
কমরেড বরুণ রায় স্মৃতি সংসদ কর্তৃক আয়োজিত স্মরণ সভায় বক্তরা আরো বলেন, বরুণ রায় ১৯৪২ সালে কমিনিস্ট পার্টিতে যোগদানের মাধ্যমে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। দীর্ঘ রাজনৈকি জীবনে অন্যায় অবিচারের বিপক্ষে সংগ্রাম করেছেন। অন্ধকার শক্তির বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে গিয়ে বহু বছর কারা ভোগ করতে হয়েছে বরুণ রায়কে।
বক্তারা বলেন, বরুণ রায় একটি ইতিহাসের নাম। যা বর্তমান রাজনীতির আদর্শ। তাই বরুণ রায়ের আদর্শ লালনের মাধ্যমে বঞ্চিতদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
কমরেড বরুণ রায় স্মৃতি সংসদের সভাপতি শিক্ষাবিদ ধূর্জটি কুমার বসুর সভাপতিত্বে স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখেন, লেখক ও কলামিস্ট অ্যাড.হোসেন তৌফিক চৌধুরী, শিক্ষাবিদ পরিমল কান্তি দে, মুক্তিযুদ্ধ চর্চা গভেষণা কেন্দ্রের আহ্বায়ক অ্যাড. বজলুল মজিদ চৌধুরী খসরু, জেলা কমিনিস্ট পার্টির সভাপতি চিত্ত রঞ্জন তালুকদার, সিনিয়র আইনজীবী চান মিয়া, জেলা কমিনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. এনাম আহমদ, জেলা যুব ইউনিয়নের সভাপতি মো. মাঈনুদ্দিন, জেলা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি তারেক চৌধুরী প্রমুখ। পরে মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান, অসহায় গরীব মানুষদের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরণ ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মধ্যে পরুস্কার বিতরণ করেন অতিথিবৃন্দ।