স্টাফ রিপোর্টার :
আসন্ন একদাশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলা বাসীর চোখ এখন সুনামগঞ্জ-৪ (সদর-বিশ্বম্ভরপুর) আসনে। জেলার গুরুত্বপূর্ণ এই আসনটিতে প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলের মনোনয়ন কে পাচ্ছেন তা নিয়ে নেতাকর্মীদের জল্পনা কল্পনার শেষ নেই। অন্যদিকে মহাজোটের শরিক জাপাকে নিয়ে আশঙ্কায় দিন কাটছে আ.লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আ.লীগ থেকে মনোনয়ন ফরম কিনে জমা দিয়েছেন জেলা আ.লীগের সভাপতি মতিউর রহমান, সহ সভাপতি অ্যাড. খায়রুর কবির রুমেন, সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমন, সাংগঠনিক জুনেদ আহমদ ও কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য অ্যাড. কামাল হোসেন।
এই প্রার্থীদের মধ্যে আলোচনায় আছেন জেলা আ.লীগের সভাপতি মতিউর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমন। শেষ মুহূর্তে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে তাদের মধ্যে তীব্র লড়াই চলছে। মতিউর রহমান এর আগে আ.লীগের ব্যানারে উপ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। অন্যদিকে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যারিস্টার ইমন দলীয় মনোনয়ন পেয়েছিলেন।
সর্বশেষ নির্বাচনে জেলার গুরুত্বপূর্ণ আসনটি ছাড় দেয় আ.লীগ। দলীয় মনোনয়ন পেয়েও কপাল পুড়ে ব্যারিস্টার ইমনের। যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাড. পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ জাপায় যোগ দিয়ে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় এমপি নির্বাচিত হন।
এবারের নির্বাচনেও জাপা আ.লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটে আছে। আ.লীগকে যেকটি আসনে জাপা নির্বাচন করার তালিকা দিয়েছে এর মধ্যে অন্যতম সুনামগঞ্জ-৪। ফলে এবারো কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি পড়তে যাচ্ছেন আ.লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। আ.লীগের একাদিক প্রার্থী ও জাপার একক পীর মিসবাহ মরিয়া হয়ে উঠেছেন মহাজোটের প্রার্থী হওয়ার জন্য।
অন্যদিকে নির্বাচনকে সামনে রেখে অভ্যন্তরীন কোন্দলে পুড়ছে বিএনপি। এই আসনে দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছন ৬জন নেতা। তারা হলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা অ্যাড. ফজলুল হক আসপিয়া, জেলা বিএনপির সহ সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেওয়ান জয়নুল জাকেরীন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নুরুল, জেলা বিএনপির সহসভাপতি আব্দুল লতিফ জেপি, যুবদলের সভাপতি আবুল মনসুর শওকত ও জেলা কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক আসম খালিদ।
তবে আলোচনায় আছেন ৩জন নেতা। তারা হলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা অ্যাড. ফজলুল হক আসপিয়া, জেলা বিএনপির সহ সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জয়নুল জাকেরীন , জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নুরুল। শেষ মুহূর্তে মনোনয়ন নিয়ে তীব্র বিরোধে জড়িয়ে গেছেন অ্যাড. ফজলুল হক আছপিয়া ও নুরুল ইসলাম নুরুল। কে পাচ্ছেন বিএনপির এনিযে নেতাকর্মীদের জল্পনা কল্পনার শেষ নেই।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা অ্যাড. ফজলুল হক আসপিয়া জানান, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে নিজেদের প্রার্থীর বিজয় সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে, দলে কোন কোন্দল নেই।
জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমন বলেন, সদর আসনটি জাপাকে ছাড় না দিতে তৃনমূল নেতাকর্মীদের দীর্ঘদিনের দাবি, আমরা কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে বিষয়টি অবগত করেছি। আশা করছি দলীয় মনোনয়ন পেলে দরীয় সভানেত্রীকে আসনটি উপহার দিতে পারবো।