1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২১ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

সম্পদের সমবণ্ঠনের নীতিকে যুক্ত করে জাতীয় উন্নয়ন চাই

  • আপডেট সময় শনিবার, ৬ অক্টোবর, ২০১৮

একাদশ জাতীয় নির্বাচন এগিয়ে আসছে। এক দিন গত হচ্ছে তোÑ জাতির দিকে, নির্বাচকম-লীর দিকেÑ এক কদম কাছিয়ে আসছে নির্বাচন। চাড্ডায় ডাড্ডায় টেবিল চাপড়ানি যেমন বাড়ছে তেমনি বাড়ছে লোকজনের চেতনায় নির্বাচন নিয়ে জল্পনা-কল্পনার আন্দোলন। রাজনীতিক দলের সমর্থকদের মধ্যে নির্বাচনী তোড়জোর বাড়ছে। পত্রপত্রিকায় নির্বাচনী প্রচারণার সড়গরম তৎপরতা প্রতিনিয়ত বর্র্ধিতাকারে প্রত্যক্ষ করা যাচ্ছে। জাতীয় পর্যায়ে জোট গঠনের তৎপরতা নীরবে-সরবে অব্যাহত আছে। সঙ্গে নির্বাচনে চিরদিনের অনুষঙ্গ সুবিধাবাদীরা ফাঁকতাল খোঁজছে। শহরেবন্দরে, গ্রামেগ্রামান্তরে, মাঠেময়দানে ক্রমাগত ছাড়িয়ে পড়ছেন মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থী ও তাঁর কর্মীবহর। ধীরে ধীরে প্রত্যন্ত গ্রামের নিরিবিলি ঝুপড়িতেও নির্বাচনের আমেজের আঁচ বিকিরিত হচ্ছে। তাতিয়ে উঠছে নির্বাচন পাগল বাংলাদেশ। গতকালের দৈনিক সুনামকণ্ঠের নির্বাচন সংক্রান্ত কিংবা বলা ভালো নির্বাচনের সঙ্গে কোনও-না-কোনওভাবে সম্পৃক্ত-হয়ে-পড়া সংবাদপ্রতিবেদনগুলোর শিরোনামছিল : (এক). উন্নয়ন মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ॥ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অনন্য উচ্চতায়, (দুই). বর্তমান প্রজন্মের নেতৃত্বেই আগামীর উন্নত বাংলাদেশ ও (তিন). বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে Ñজয়া সেনগুপ্তা। বিশেষ করে লক্ষণীয় যে, শিরোনামগুলোর প্রত্যেকটিতে উন্নয়নের বিষয়টি প্রধান্য পেয়েছে। মনে হচ্ছে এবারের নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে আওয়ামী লীগ ও তার জোটের প্রধান প্রচারপাথেয় হবে উন্নয়ন।
উন্নয়ন নিয়ে কথা উঠলে এখন আর কারও পক্ষে বাংলাদেশের উন্নয়নের বিষয়টিকে আগের মতো অস্বীকার করার সাহস হয় না, আগে যেভাবে সহজেই এবং যুক্তিসহকারে অনায়াসে তাচ্ছিল্যের সঙ্গে অস্বীকার করা সম্ভব হতো। কথা হলো প্রকৃতপ্রস্তাবে বর্তমান বাংলাদেশে ‘উন্নয়ন’ আসলেই উন্নয়ন, সেটা আর অতীতের মতো কোনও ফাঁকা বুলি নয়। বর্তমানে ক্ষমতাসীন সরকার এখানে উন্নয়ন না করে উন্নয়নের বুলি বড়গলা করে কপচাচ্ছে না, দশক দেড়েক আগের সরকারগুলোর মতো। যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে ক্ষমতায় এসেছিল উন্নয়নের স্পর্শ থেকে বাংলাদেশকে সরিয়ে রাখার পরিকল্পনা নিয়ে এবং বাংলাদেশকে ৭১-এর পূর্ববর্তী পশ্চাদপদ অবস্থায় নিয়ে গিয়ে পাকিস্তানের মতো একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র বানাতে চেয়েছিল। সেজন্য দুর্নীতির সঙ্গে সাম্প্রদায়িকতার রাজনীতিকে তারা প্রশ্রয় দিয়ে এসেছে একাত্তরের পরাজিত শত্রুশক্তির সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে। জাতীয়মুক্তি ও জাতীয় উন্নয়নের বিরাধিতার নীতি তারা লালন করেছে তাদের রাজনীতিক আদর্শের ছদ্মাবরণে, সুদীর্ঘ দুইদশক ধরে।
এখন কথা হলো, আমার উন্নয়ন চাই, কিন্তু সে-উন্নয়নের সঙ্গে সম্পদের সমবণ্ঠনের নীতিকে যুক্ত করে। সেটা ভুলে গেলে চলবে না। আমরা এমন উন্নয়ন চাই না, যে-উন্নয়নে শতকরা পাঁচজনের মৌলিক অধিকারের সংস্থান হবে, বাদ বাকি পঁচান্নব্বইজন বাদ পড়বে সে-উন্নয়ন থেকে। ধনীর উন্নয়ন নয় সামগ্রিকভাবে সমগ্র জাতির উন্নয়ন চাই। উন্নয়ন কেবল একতরফা ধনীর জন্য হবে না। উন্নয়ন গবিবের সেবাও করবে।
সম্পদের সমবণ্ঠনের নীতিকে যুক্ত করে জাতীয় উন্নয়ন চাই
একাদশ জাতীয় নির্বাচন এগিয়ে আসছে। এক দিন গত হচ্ছে তোÑ জাতির দিকে, নির্বাচকম-লীর দিকেÑ এক কদম কাছিয়ে আসছে নির্বাচন। চাড্ডায় ডাড্ডায় টেবিল চাপড়ানি যেমন বাড়ছে তেমনি বাড়ছে লোকজনের চেতনায় নির্বাচন নিয়ে জল্পনা-কল্পনার আন্দোলন। রাজনীতিক দলের সমর্থকদের মধ্যে নির্বাচনী তোড়জোর বাড়ছে। পত্রপত্রিকায় নির্বাচনী প্রচারণার সড়গরম তৎপরতা প্রতিনিয়ত বর্র্ধিতাকারে প্রত্যক্ষ করা যাচ্ছে। জাতীয় পর্যায়ে জোট গঠনের তৎপরতা নীরবে-সরবে অব্যাহত আছে। সঙ্গে নির্বাচনে চিরদিনের অনুষঙ্গ সুবিধাবাদীরা ফাঁকতাল খোঁজছে। শহরেবন্দরে, গ্রামেগ্রামান্তরে, মাঠেময়দানে ক্রমাগত ছাড়িয়ে পড়ছেন মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থী ও তাঁর কর্মীবহর। ধীরে ধীরে প্রত্যন্ত গ্রামের নিরিবিলি ঝুপড়িতেও নির্বাচনের আমেজের আঁচ বিকিরিত হচ্ছে। তাতিয়ে উঠছে নির্বাচন পাগল বাংলাদেশ। গতকালের দৈনিক সুনামকণ্ঠের নির্বাচন সংক্রান্ত কিংবা বলা ভালো নির্বাচনের সঙ্গে কোনও-না-কোনওভাবে সম্পৃক্ত-হয়ে-পড়া সংবাদপ্রতিবেদনগুলোর শিরোনামছিল : (এক). উন্নয়ন মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ॥ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অনন্য উচ্চতায়, (দুই). বর্তমান প্রজন্মের নেতৃত্বেই আগামীর উন্নত বাংলাদেশ ও (তিন). বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে Ñজয়া সেনগুপ্তা। বিশেষ করে লক্ষণীয় যে, শিরোনামগুলোর প্রত্যেকটিতে উন্নয়নের বিষয়টি প্রধান্য পেয়েছে। মনে হচ্ছে এবারের নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে আওয়ামী লীগ ও তার জোটের প্রধান প্রচারপাথেয় হবে উন্নয়ন।
উন্নয়ন নিয়ে কথা উঠলে এখন আর কারও পক্ষে বাংলাদেশের উন্নয়নের বিষয়টিকে আগের মতো অস্বীকার করার সাহস হয় না, আগে যেভাবে সহজেই এবং যুক্তিসহকারে অনায়াসে তাচ্ছিল্যের সঙ্গে অস্বীকার করা সম্ভব হতো। কথা হলো প্রকৃতপ্রস্তাবে বর্তমান বাংলাদেশে ‘উন্নয়ন’ আসলেই উন্নয়ন, সেটা আর অতীতের মতো কোনও ফাঁকা বুলি নয়। বর্তমানে ক্ষমতাসীন সরকার এখানে উন্নয়ন না করে উন্নয়নের বুলি বড়গলা করে কপচাচ্ছে না, দশক দেড়েক আগের সরকারগুলোর মতো। যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে ক্ষমতায় এসেছিল উন্নয়নের স্পর্শ থেকে বাংলাদেশকে সরিয়ে রাখার পরিকল্পনা নিয়ে এবং বাংলাদেশকে ৭১-এর পূর্ববর্তী পশ্চাদপদ অবস্থায় নিয়ে গিয়ে পাকিস্তানের মতো একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র বানাতে চেয়েছিল। সেজন্য দুর্নীতির সঙ্গে সাম্প্রদায়িকতার রাজনীতিকে তারা প্রশ্রয় দিয়ে এসেছে একাত্তরের পরাজিত শত্রুশক্তির সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে। জাতীয়মুক্তি ও জাতীয় উন্নয়নের বিরাধিতার নীতি তারা লালন করেছে তাদের রাজনীতিক আদর্শের ছদ্মাবরণে, সুদীর্ঘ দুইদশক ধরে।
এখন কথা হলো, আমার উন্নয়ন চাই, কিন্তু সে-উন্নয়নের সঙ্গে সম্পদের সমবণ্ঠনের নীতিকে যুক্ত করে। সেটা ভুলে গেলে চলবে না। আমরা এমন উন্নয়ন চাই না, যে-উন্নয়নে শতকরা পাঁচজনের মৌলিক অধিকারের সংস্থান হবে, বাদ বাকি পঁচান্নব্বইজন বাদ পড়বে সে-উন্নয়ন থেকে। ধনীর উন্নয়ন নয় সামগ্রিকভাবে সমগ্র জাতির উন্নয়ন চাই। উন্নয়ন কেবল একতরফা ধনীর জন্য হবে না। উন্নয়ন গবিবের সেবাও করবে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com