গতকালের দৈনিক সুনামকণ্ঠের এক সংবাদপ্রতিবেদন থেকে জানা যায় যে, সনামগঞ্জের পুরাতন বাসস্টেশনের মূল সড়কের উপর লেগুনা ও যাত্রীবাহী কার পার্কিং কর হচ্ছে। ফলে সহজ চলাচলের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন পথচারীগণ এবং যখন তখন অবাঞ্ছিত যানজট লেগে গিয়ে একটি বিতিকিচ্ছিরি জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে রাস্তার উপর এবং প্রকারান্তরে আসলেই জাতীয় কার্যদিবসের সময়ের অপব্যয়ের বহর বাড়ছে। প্রতিনিয়ত এই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে অথচ কারও পক্ষ থেকে কোনও প্রকার প্রতিকারেরও কোনও উদ্যোগ পরিলক্ষিত হচ্ছে না। মনে হচ্ছে পথের কোনও নিয়ন্ত্রক নেই, পথের নেই কোনও অভিভাবক, পথে কখনওই কোনও আইন কার্যকর হতে পারে না। অর্থাৎ পথের কোনও আইন নেই। পথে যা ইচ্ছা তা-ই করা যায়। পথ হলো লেগুনা ও কার-লাইটেসের যাচ্ছেতাই করার জায়গা।
পুরাতন বাসস্টেশনের অবস্থা যদি এমন হয়, তাহলে যে-কেউ ভেবে বসতে পারেন এই জেরা শহরে রাস্তায় ট্রাফিক বলে কীছু নেই। অথবা পুরাতনবাসস্টেশন ট্রাফিক আইনের এখতিয়ারবহির্র্ভূত একটি জায়গা, ট্রাফিকমুক্ত স্থান, সেখানে ট্রাফিক পুলিশ কর্তব্যরত থাকেন না।
অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে বেশি কীছু বলতে চাই না। কেবল বলি, ট্রাফিক ব্যবস্থার প্রচলিত আইন যথাযথভাবে প্রয়োগ করলে পুরাতন বাসস্টেশনের যানজট নিরসন অসম্ভব কোনও কীছু নয়। ট্রাফিক কর্মকর্তা বা কর্মচারীগণকে বোধ করি এ পরামর্শ দেওয়া ধৃষ্টতা হবে বা বলা যায় মায়ের কাছে মামুর বাড়ির গল্প বলার মতো বালখিল্য বিষয় হয়ে যাবে, যদি বলি যে, যে-লেগুনা বা কার-লাইটেস নির্ধারিত পার্কিংস্থানে পার্ক করা হবে না সে-লেগুনা বা কার-লাইটেসের চালককে জরিমানা করার এখতিয়ার ট্রাফিক কর্মকর্তার আছে, কার্যক্ষেত্রে প্রয়াজনে তা কার্যকর তাঁরা করতেই পরেন এবং করলে কোনও চালক রাস্তাদখল করে যান পার্কিং করার সাহস পাবেন না।