বিশেষ প্রতিনিধি ::
সুনামগঞ্জ জেলার অন্যতম আকর্ষণীয় পর্যটন স্পট বরগোপ টিলা (বারিক্যা টিলা) এখন হুমকির মুখে। স্থানীয় কিছু ব্যক্তি টিলা কেটে গত এক বছর ধরে বসতবাড়ি নির্মাণ করায় টিলার পশ্চিমের অংশ এখন চরম হুমকিতে পড়েছে। গত দুই দিন ধরে টিলা ধসে নিচের বোরো জমি বালু ও পাথরে ভরে গেছে। এতে টিলার পাদদেশে বসবাসকারী আদিবাসীদের ফসলি জমিও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
জানা গেছে, গত বছর স্থানীয় কিছু লোক টিলা কেটে বসতবাড়ি নির্মাণ করতে শুরু করে। এ নিয়ে দৈনিক সুনামকণ্ঠে প্রধান সংবাদ ছাপা হলে উপজেলা প্রশাসন তাদের নির্মিত বসতবাড়িগুলো উচ্ছেদ করে দেয়। কিছুদিন যাওয়ার পরেই টিলার নিচের দুই দিকের পাহাড় কেটে দোকানঘর ও ৫-৭টি বসতবাড়ি নির্মাণ শুরু করে একটি চক্র। বসতবাড়ি নির্মাণের সময় টিলা কাটায় ঝুঁকির সৃষ্টি হয়। ফলে গত দুই দিনের বৃষ্টিতে ধসে পড়ছে টিলার বিভিন্ন অংশ। টিলার মধ্য দিয়ে নির্মিত রাস্তাটিও ইতোমধ্যে ভেঙে গেছে। ফলে স্থানীয় মানুষদের যোগাযোগে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এই টিলার নিচেই বসবাস করেন গারো জনগোষ্ঠীর লোকজন। নিচে একটি কমিউনিটি ক্লিনিকও রয়েছে। টিলার বিভিন্ন অংশ ধসে পড়ায় জমি, বসতি ও কমিউনিটি ক্লিনিকটিও ঝুঁকিতে পড়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী আদিবাসীরা জানান, শুরুর দিকে টিলা কাটার প্রতিবাদ করায় দখলকারী বাঙালিরা তাদের হুমকি-ধমকি দিয়েছে। যে কারণে তারা নীরব রয়েছেন। তবে এখন টিলা কেটে নিচে বসবাসকারীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত এক বছরে টিলার নিচের অংশের অনেকটা কাটা গেছে।
স্থানীয় আদিবাসী নেতা এন্ড্রু সলোমার বলেন, সুনামগঞ্জ জেলার সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন পর্যটন স্পট হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে বড়গোপ টিলাটি। মেঘালয় পাহাড় ঘেঁষা সুউচ্চ এই টিলাটি দেখতে প্রতিদিনই পর্যটকরা আসেন। এর মধ্য দিয়ে একটি ছোট রাস্তা রয়েছে। কিন্তু প্রকৃতির গায়ে কোপ পড়ায় টিলাটি ধসে যাচ্ছে। রাস্তাটিও হুমকিতে পড়েছে। এভাবে অব্যাহত থাকলে এই টিলায় ওঠানামার কোন সুযোগ থাকবেনা বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে জানতে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পূর্ণেন্দু দেব-এর মুঠোফোনে ১৭বার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।