গত রোববার (০৯ সেপ্টেস্বর ২০১৮) দুপুরে ‘হাওর বাঁচাও সুনামগঞ্জ বাঁচাও আন্দোলন’ স্মারকলিপি প্রদান করেছেন, সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর সমীপে। স্মরকলিপিতে সুনামগঞ্জ জেলার কৃষি বিষয়ক দুইটি সমস্যার বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ করা হয়েছে সুনামগঞ্জ জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে জনবল স্বল্পতার কারণে করণীয় কাজ যথাযথভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হচ্ছে না। অন্যটি সরকারি খাদ্যগোদমে সরাসরি প্রকৃত কৃষকের ধান বিক্রয় করার সুবিধা থেকে বঞ্চিত হওয়া সম্পর্কিত সমস্যা। সংবাদ বিবরণে বলা হয়েছে, ‘সুনামগঞ্জ জেলার কৃষিবিভাগ জনবল সংকটে স্থবির হয়ে পড়েছে। ১১ উপজেলার মধ্যে দুই উপজেলায় কৃষিকর্মকর্তা নেই। ১১ জন অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা থাকার বিধান থাকলেও এ হাওরাঞ্চলের জেলায় একজনও নেই। ২২ জন কৃষিকর্মকর্তার মধ্যে আছেন মাত্র একজন। ২৬৩ জন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার মধ্যে আছেন মাত্র ১০৮ জন। হাওরে বোরো অবাদের সময়ে কৃষির সাথে সম্পর্ককৃত কর্মকর্তারা না থাকায় হাওরাঞ্চলের বিশাল ক্ষতির কারণ হতে পারে।’ অপরদিকে উল্লেখ করা হয়ে প্রকৃত কৃষকের হাতে কৃষি সহায়তা কার্ড না থাকায় প্রকৃত কৃষকরা সরকারি ধানের গোদমে ধান বিক্রয় করার সুবিধা থেকে বঞ্চিত হওয়ার সমস্যার কথা।
জানা কথা, সরকারি প্রতিষ্ঠানে জনবল সংকট উন্নয়নের কাজকে স্থবির করে দেয়। আশা করি জরুরি ভিত্তিতে জনবল সংকটের নিরসন করা হবে। তাছাড়া সরকারি ধানের গোদামে/খাদ্য গোদামে অকৃষকদের ধান বিক্রিয় করার কার্ডের সুবিধা তুলে দিয়ে কেবল প্রকৃত কৃষষককে গোদামে ধান বিক্রিয় করার কার্ডের সুবিধা প্রদানকে নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় কার্যক্ষেত্রে স্থবিরতা কাটবে না, হাওরাঞ্চলের কৃষকদের ভোগান্তিও কমবে না।