সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
একাদশ সংসদ নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, তত কিছু চ্যালেঞ্জরও মুখোমুখি হচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার কৌশল নিয়েও ভেবে রেখেছে দলটি। এক্ষেত্রে দলকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করার ওপরই গুরুত্ব আরোপ করছেন দলটির শীর্ষ নেতারা।
দলটির নীতি-নির্ধারকদের মতে, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। নির্বাচন পর্যন্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি বিদেশি শক্তিগুলোকে সরকারের পাশে রাখা সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। এছাড়া বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কারামুক্তি আন্দোলন ও দেশীয় ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করা ছাড়াও দলীয় অন্তর্কোন্দল নিরসন করাও বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে ক্ষমতাসীন দলটি।
নীতি-নির্ধারণী সূত্রগুলো বলছে, এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেই নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য দলকে শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ করার কোনও বিকল্প নেই বলেও দলের সিনিয়র নেতারা মনে করেন।
নির্বাচনের আগ পর্যন্ত দলকে প্রান্ত থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত সুসংগঠিত করার কাজ চলছে বলে জানালেন আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, প্রতিনিয়ত সর্বস্তরে কী করতে হবে, তা নিয়ে আলোচনা চলছে। নির্বাচনের আগে তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত সবার সঙ্গে দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার অন্তত আরেক দফা বসার সম্ভাবনা রয়েছে। সেখানে দলীয় সভাপতি আমাদের চ্যালেঞ্জ কী, নির্বাচনে বিজয়ের জন্যে কী করতে হবে, সে বিষয়ে তার দিক-নির্দেশনা দেবেন।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় চার জন নেতা গণমাধ্যমকে বলেন, খালেদা জিয়ার কারামুক্তির আন্দোলনকে কাজে লাগিয়ে বিএনপি নির্বাচনের আগে শেষবারের মতো মাঠে নামার চেষ্টা চালাতে পারে। আওয়ামী লীগকেও রাজনৈতিক শক্তি দিয়ে সেই চেষ্টা মোকাবিলা করতে হবে। তাই নিজেদের সাংগঠনিক শক্তি সঞ্চয় করে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্যে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দেন-দরবার করতে হবে ক্ষমতাসীনদের। একইসঙ্গে প্রভাবশালী বিদেশি শক্তিগুলোর তৎপরতা বন্ধে রাজনৈতিক বুদ্ধিমত্তা নিয়ে কাজ করার ওপরও তারা গুরুত্ব আরোপ করেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য কাজী জাফরউল্যাহ বলেন, চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে আওয়ামী লীগকে সবসময় ক্ষমতায় আসতে হয়েছে। এবারও বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ আওয়ামী লীগের সামনে আছে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে টানা তৃতীয়বারের মতো দেশ পরিচালনা করবে আওয়ামী লীগ।
দলের সভাপতিম-লীর সদস্য ফারুক খান বলেন, আওয়ামী লীগ মাটি ও মানুষের সংগঠন। সব ষড়যন্ত্র ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে রাষ্ট্রক্ষমতায় আবারও আওয়ামী লীগ অধিষ্ঠিত হবে।
জানতে চাইলে ক্ষমতাসীন দলটির যুগ্ম সাধারণ স¤পাদক আব্দুর রহমান বলেন, নির্বাচন ঘনিয়ে এলে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের ডালপালা গজাতে থাকে। এগুলো মোকাবিলার প্রস্তুতি নিয়ে আওয়ামী লীগ কৌশল নির্ধারণ করে বলেও মন্তব্য করেন।