স্টাফ রিপোর্টার ::
দুই ইউনিট কমিটি অনুমোদন দিয়ে ধাক্কা খেল জেলা বিএনপি’র নতুন কমিটি। অনুমোদন দিয়ে এক সপ্তাহের মাথায় তা স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছেন জেলা কমিটির শীর্ষ দুই নেতা। নেতৃবৃন্দ বলছেন- কেন্দ্রকে অবহিত, স্থানীয় ত্যাগীদের মূল্যায়ন এবং তড়িঘড়ি না করে কমিটি দিলে এই অবস্থায় পড়তে হত না তাদের।
বিএনপি সূত্রে জানা যায়, গত ১২ আগস্ট জেলার তাহিরপুর ও জামালগঞ্জ উপজেলা কমিটি অনুমোদন করেন জেলা বিএনপি’র সভাপতি কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নুরুল। জামালগঞ্জে নুরুল হক আফিন্দী সভাপতি, শাহ মো. শাহজাহান সাধারণ সম্পাদক এবং তাহিরপুরে নুরুল ইসলাম সভাপতি ও জুনাব আলী সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান। কিন্তু ত্যাগীদের অবমূল্যায়ন, প্রবাসী, মৃতরা কমিটিতে স্থান পাওয়ার অভিযোগ উঠে। এক পর্যায়ে বিক্ষুব্ধ বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতা এ ব্যাপারে কেন্দ্রের কাছে অভিযোগও দেন। কমিটি নিয়ে মাঠঘোলা করার আগেই শনিবার রাতে কেন্দ্রীয় মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দুই উপজেলার সভাপতিসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দের সঙ্গে জরুরি সভা করেন। এতে জেলা বিএনপি’র সভাপতি কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন উপস্থিত ছিলেন। সভায় কমিটি নিয়ে দুই উপজেলার নেতৃবৃন্দ নানা অভিযোগ করেন। এক পর্যায়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সভায় উপস্থিত জেলা কমিটির সভাপতি কলিম উদ্দিন আহমদ মিলনকে তাৎক্ষণিক কমিটি স্থগিতের নির্দেশ দেন। রোববার ঢাকা থেকে ফিরে কলিম উদ্দিন মিলন সুনামগঞ্জ আসেন। পরে জেলা বিএনপি সভাপতি কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নুরুল তাহিরপুর ও জামালগঞ্জ উপজেলা কমিটি স্থগিতের নির্দেশ দেন। জেলা বিএনপি’র দপ্তর সম্পাদক সম্পাদক জামাল উদ্দিন বাকের স্বাক্ষরিত এক পত্রে বলা হয়, সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপি কর্তৃক গত ১২-০৮-১৮ তারিখে অনুমোদিত তাহিরপুর ও জামালগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র কমিটি জেলা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক-এর নির্দেশ ক্রমে স্থগিত করা হল।
জেলা বিএনপি’র যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, কমিটি গঠনে জেলা বিএনপি’র সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক চরম স্বেচ্ছাচারিতা, অগঠনতান্ত্রিকতার আশ্রয় নিয়েছেন। কেন্দ্র ও তৃণমূলের মতামত না নিয়ে তারা পকেট কমিটি অনুমোদন দিয়েছিলেন। কমিটিতে অনেক ত্যাগী, নির্যাতিত নেতার স্থান হয়নি। আমার জানা মতে, কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বিষয়টি অবহিত হয়ে তাৎক্ষণিক কমিটি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন। এর মাধ্যমে দুই নেতা নিজেদের অযোগ্যতার পরিচয় দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে জেলা বিএনপি’র সভাপতি কলিম উদ্দিন আহমদ মিলনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।