স্টাফ রিপোর্টার ::
দলীয় সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশ ছিল ‘নিজ নিজ এলাকায় সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড প্রচার করুন।’ কিন্তু সুনামগঞ্জে ক্ষমতাসীন আ.লীগের নেতারা যেন ঠিক বিপরীত। নিজেদের ব্যক্তিগত রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ও নানা সামাজিক কর্মকাণ্ড প্রচারে যেন সময় কাটছে তাদের। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও যেন সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের প্রচার কার্যক্রমের হাহাকার।
জেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী প্রায় সব নেতাদের ফেসবুকে আইডি আছে। কিন্তু তাদের আইডি ঘুরে দেখা গেছে, সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বিবরণ সংবলিত প্রচার নেই বললেই চলে। নিজেদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের ফিরিস্তিই তারা বেশি তুলে ধরছেন।
শুধু আ.লীগের নেতারা নন, সহযোগী সংগঠনের নেতাদের অবস্থা একই। কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় কর্মসূচি ছাড়া কালেভদ্রে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতে দেখা যায় তাদের।
বর্তমান সরকারের আমলে সুরমা নদীর উপর আব্দুজ জহুর সেতু, ছাতকে সুরমা নদীর উপর সেতু, সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ক বর্ধিতকরণের জন্য ১২২ কোটি টাকা বিশেষ বরাদ্দ, সদর হাসপাতালের নতুন ভবন নির্মাণ, বিদ্যুতের নতুন সাব স্টেশন নির্মাণ, নির্মাণাধীন রাণীগঞ্জ সেতুসহ অন্যান্য উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের বিস্তারিত তোলে ধরতে অধিকাংশ নেতাকর্মীদের দেখা যায় না।
আ.লীগের কেন্দ্র থেকে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড প্রচারের বিশেষ সেল আছে, যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়। কিন্তু এ ব্যাপারে আ.লীগ ও অঙ্গসংগঠনের অধিকাংশ নেতাকর্মীরাই জানেন না।
জেলা আ.লীগের এক নেতা জানান, এ সরকারের আমলে সারাদেশের সঙ্গে সুনামগঞ্জের অভূর্তপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। যা টাকার পরিমাণে কয়েক হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। কিন্তু সাধারণ মানুষের কাছে উন্নয়নের বার্তা পৌঁছাচ্ছে না। নেতারা নিজেদের কর্মকাণ্ড প্রচারে বেশি সময় ব্যয় করছেন। ফলে বর্তমান সরকারের আমলে চোখে পড়ার মত উন্নয়ন কর্মকাণ্ডগুলো প্রচার হচ্ছে না। সামনে নির্বাচন, বর্তমান প্রজন্ম ইন্টারনেটের দিকে ঝুঁকেছে বেশি, সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বেশি বেশি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বিবরণ তোলে ধরা উচিত।
জেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি অ্যাড. খায়রুল কবির রুমেন বলেন, আমিই প্রথম সুনামগঞ্জে বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সংবলিত লিফলেট নিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে যাচ্ছি। তাদের কাছে শেখ হাসিনার সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তোলে ধরছি। শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে সব নেতাকর্মীকে এগিয়ে আসতে হবে। উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিয়মিত প্রচার করতে হবে।