বিশেষ প্রতিনিধি ::
সুনামগঞ্জ-৪ (সদর-বিশ্বম্ভরপুর) নির্বাচনী এলাকা মুখর হয়ে উঠেছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের প্রচারণায়। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির সম্ভাব্য প্রার্থীরা হাট-বাজার, বাড়ি বাড়ি ঘুরে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কুশল বিনিময় করছেন।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ থেকে অর্ধ ডজন নেতা জেলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই আসনটিতে নির্বাচন করতে আগ্রহী। তারা হলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মতিউর রহমান, সিনিয়র সহ-সভাপতি নূরুল হুদা মুকুট, সহ-সভাপতি অ্যাড. খায়রুল কবির রুমেন, সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম. এনামুল কবির ইমন ও সাংগঠনিক সম্পাদক জুনেদ আহমদ।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিউর রহমান গত দুই দিন ধরে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায় লাগাতার প্রচারণা চালাচ্ছেন। বুধবার কাইয়ারগাঁও ও আশেপাশের এলাকায় ও বৃহস্পতিবার গৌরারং ইউনিয়নের রাধানগর পয়েন্টে সমাবেশ ও গৌরারং ইউনিয়নে প্রচারণা চালান।
এসময় তিনি বলেন, আমি জনগণের রাজনীতি করি। জনগণকে দেওয়া ওয়াদা পালন করি। কখনো কারো সাথে মিথ্যাচার করিনি ভাওতাবাজি করিনি। যারা উড়ে এসে জুড়ে বসে জনগণের সাথে মিথ্যাচার করে আপনারা এসব ডিজিটাল ভাওতাবাজদের কাছ থেকে ১০০ মাইল দূরে থাকবেন। এসব ভাওতাবাজ নেতাদের পরীক্ষা বিগত সময়ের নির্বাচনে প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ জনগণের সংগঠন। কারো পৈতৃক স¤পত্তি নয়। ইনশাল্লাহ আগামী সংসদ নির্বাচনে আমি দলের মনোনয়ন পাব, নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনও করবো। আপনারাও নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে আমার প্রতি ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ ও প্রতিফলন ঘটাবেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও জেলা বারের পিপি অ্যাড. খায়রুল কবির রুমেন গত এক সপ্তাহ ধরে বর্তমান সরকার ও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন কর্মকা-ের বর্ণনা সংবলিত লিফলেট নিয়ে প্রচারণা শুরু করেছেন। জেলা আ.লীগ ও অঙ্গ সংগঠন সমূহের নেতাকর্মীদের নিয়ে সংসদীয় আসনের দুই উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকায় ছুটে বেড়াচ্ছেন।
গণসংযোগকালে অ্যাড. রুমেন বলেন, আমি মানুষের কাছে গিয়ে বর্তমান সরকার ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন কর্মকা- তোলে ধরছি। সাধারণ মানুষের সঙ্গে গণসংযোগকালে যে ভালবাসা পেয়েছি তাতে আমি আপ্লুত। আশা করছি দল আমাকে মূল্যায়ন করবে।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমন ২০১৪ সালের নির্বাচনে দল থেকে মনোনয়ন পেয়েছিলেন। এবারও তিনি মনোনয়ন পাবার ব্যাপারে আশাবাদী। কিছুতেই তিনি জাপাকে আসনটি ছাড় দিতে নারাজ। নির্বাচন করার লক্ষ্যে নির্বাচনী প্রচারণা জোরদার করেছেন তিনি। গত কয়েকদিন ধরে তিনি সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে কর্মীসভা, পথসভা ও গণসংযোগ করছেন। এসময় তিনি বলেন, আমি ২০১৪ সালের নির্বাচনে আমি দলীয়ভাবে মনোনয়ন পেয়েছিলাম। পরে জোটের স্বার্থে ও শেখ হাসিনার নির্দেশে আমি মনোনয়ন প্রত্যাহার করি। এবার এই আসনটিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী চাই এবং আশা করছি দল আমাকে মনোনয়ন দেবে।
জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জুনেদ আহমদও বিরতিহীন প্রচারণায় নেমেছেন। অনেকটা ঢাকঢোল ছাড়াই বিভিন্ন এলাকায় তিনি নেতাকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় ও সরকারের উন্নয়ন কর্মকা- তোলে ধরছেন।
জাপার অন্যতম মনোনয়ন প্রত্যাশী ইনান ইসমাম হোসেন চৌধুরী প্রিয় গত এক সপ্তাহ ধরে লাগাতার প্রচারণায় আছেন। বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সাতগাঁও, বাদাঘাট, বাঘবেড়সহ বিভিন্ন এলাকা এবং সদর উপজেলার কৃষ্ণনগর, মঈনপুর ও আশেপাশের এলাকায় গণসংযোগ করেন। এসময় তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি উন্নয়নে বিশ্বাসী। আমি প্রতিহিংসার রাজনীতি পছন্দ করি না। সুনামগঞ্জ-৪ আসনে নির্বাচন করতে আমি প্রস্তুত রয়েছি। জনগণকে সাথে নিয়ে এই এলাকার উন্নয়নে কাজ করে যেতে চাই।