সংবাদে প্রকাশ- দোয়ারাবাজারে এক আওয়ামী লীগ নেতা সরকারি খাস জমি দখল করে নিয়েছেন। বোধ করি এই একটি বাক্য পাঠ করার পর সচেতন পাঠকে বিষয়বস্তু সম্পর্কে বিস্তারিত বলে দেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। গতকালের দৈনিক সুনামকণ্ঠের শীর্ষশিরোনাম ছিল, ‘আ.লীগের সাইনবোর্ড টাঙিয়ে সরকারি জায়গা দখল’। বাংলাদেশে রাজনীতিক শক্তিকে ব্যবহার করে ব্যক্তি বিশেষের এমন দখল-বেদখলের ঘটনা নতুন কোনও ঘটনা নয়। দেশের যত্রতত্র সদাসর্বদা এমন ঘটনা ঘটে চলেছে। সকলেই জানে রাজনীতিক পরিচিতির আশ্রয়ে ব্যক্তিস্বার্থ উদ্ধারের এই রাজনীতিকে পৃষ্ঠপোষকতার রাজনীতি বলা হয়। বাংলাদেশের বড় দলগুলোর মধ্যে এই পৃষ্ঠপোষকতার রাজনীতির চর্চা কমবেশি প্রকাশ্য-গোপনে হয়েই থাকে। কিন্তু এবার যেটা লক্ষ্য করার বিষয় সেটা, নেতার দুর্নীতিকা-ের প্রতিক্রিয়ায় তৃণমূলের নেতকর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়েছেন, অর্থাৎ দল একেবারে নির্বিকার নয়। এটাই আশার কথা।
আওয়ামী লীগ বাংলাদেশ রাষ্ট্রপ্রতিষ্ঠার সংগ্রামে পরোহিত্য করেছে। এই রাজনীতিক সেনাপতি এই দল বাংলাদেশের গর্ব। এই দলের অবদানের কথা বাংলাদেশ কখনো ভুলবে না। দেশের সর্ববৃহৎ এই দলে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা-স্তরের লোকেরা স্ব স্ব স্বার্থোদ্ধারের মানসিকতা নিয়ে রাজনীতি করতে অনুপ্রবেশ করে। জানা কথা, এই দলে দুর্নীতিবাজ একেবারে কম করে ধরলেও অন্য যেকোনও দলের তুলনায় বেশি হবার সম্ভাবনা। কিন্তু বর্তমানে দেশের নাজুক রাজনীতিক পরিস্থিতি ও দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের মোকাবেলা করে দেশের আর্থনীতিক উন্নতি নিশ্চিত করে দেশকে অভীষ্ট লক্ষ্যে টেনে নিয়ে যাওয়ার প্রশ্নে দলের ভেতরের দুর্নীতিবাজদের কঠোর হস্তে নির্মূল করার সময় এসেছে। জনবান্ধব এই রাজনীতিক দলকে দেশের স্বার্থে, দলের স্বার্থে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের স্বার্থে, শেখ হাসিনার সম্মানের স্বার্থে সে-কথা ভুলে থাকলে চলবে না।