1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১০:১০ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

মামলাজট কমাতে সংস্কারমূলক পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার

  • আপডেট সময় সোমবার, ২৫ জুন, ২০১৮

সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
দেওয়ানী আদালতের মামলা জট কমাতে সংস্কারমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। পুরাতন দেওয়ানী মামলাগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিষ্পত্তির লক্ষ্যে প্রত্যেক আদালতে সমন জারি নিশ্চিত করা এবং দ্রুততম সাক্ষ্য গ্রহণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। পুরাতন মামলাগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিষ্পত্তির লক্ষ্যে সলিসিটরের নেতৃত্বে মনিটরিং সেল কাজ করছে। প্রতি জেলায় কেস ম্যানেজমেন্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।
জাতীয় পার্টি থেকে নির্বাচিত গাইবান্ধা-১ সংসদীয় আসনের এমপি শামীম হায়দার পাটোয়ারীর টেবিলে উত্থাপিত লিখিত প্রশ্নের জবাবে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক রোববার সংসদকে এসব তথ্য জানান। মন্ত্রী আরো জানান, মামলার জট নিরসন করার লক্ষ্যে মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ নিরবিচ্ছিন্ন করা, ৩ বছরের অধিক পুরাতন মামলা অপিরহার্যতা ব্যতিত মুলতবী না দেওয়া ও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পুরাতন মামলা নিষ্পত্তির বিষয়ে নিদের্শনা দেয়া হয়েছে।
মামলার সংখ্যাধিক্য ও বিচারপ্রার্থী জনগণের সুবিধার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে মামলার দীর্ঘসূত্রিতা নিরসনকল্পে বিভিন্ন ব্যাচে ধারাবাহিকভাবে সহকারী জজ নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি বিচারকের নতুন পদ সৃজনের বিষয়ে প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হচ্ছে।
আইনমন্ত্রী বলেন, বিচার ব্যবস্থায় আধুনিক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিচারপ্রার্থী জনগণের সুবিধার্থে সরকার ইতিমধ্যে বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্টসহ ১৩টি জেলায় ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ড এর মাধ্যমে আদালতের দৈনিক কার্যতালিকা প্রদর্শনের প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হয়েছে। দেওয়ানী আদালতের অবকাঠামো উন্নয়নে বিচারকদের এজলাস শেযার করতে না হয়, -সে লক্ষ্যে ২৭টি জেলায় জেলা জজ আদালত ভবন ঊর্ধ্বমুখি সম্প্রসারণ করা হয়েছে। নিম্ন আদালতের বিচারকদের দক্ষতা বৃদ্ধি করে বিচার প্রক্রিয়াকে গতিশীল করার লক্ষ্যে সরকার তাদের বিদেশে প্রশিক্ষণের
কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় সরকারি খরচে অষ্ট্রেলিয়ার ওয়েস্টার্ন সিডনী বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫৪০ জন বিচারকের প্রশিক্ষণের কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ২২৩ জন বিচারক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। তাছাড়া, ভারতের ভূপালে অবস্থিত ন্যাশনাল জুডিসিয়াল একাডেমীতে বাংলাদেশের অধস্তন আদালতের বিচারকদের পর্যায়ক্রমে প্রশিক্ষণ গ্রহণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া, জাপানে জাইকার অর্থায়নে ১৫ জন বিচারকে প্রশিক্ষণের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। দেশ ও বিদেশে বিচারককে প্রশিক্ষণের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। দেশ ও বিদেশে বিচারকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের কেস ম্যানেজমেন্ট এর উপর প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে মামলা জট নিরসনে ট্রাক এলোকেশন সিস্টেমে মামলাগুলোকে স্মল ট্র্যাক, ফাস্ট ট্র্যাক বা মাল্টি ট্র্যাকে ভাগ করা হয়। সাধারণত সেসব দেশ মামলা আর্থিক মূল্যবান অনুযায়ী গুরুত্ব ও জটিলতা বিবেচনায় মামলা এলোকেশন করেন। আমাদের দেশেও বিচারকদের এখতিয়ার দি সিভিল কোর্ট অ্যাক্ট, ১৮৮৭ অনুযায়ী মামলার আর্থিক মূল্যমান বিবেচনা করা হয়। অ্যালোকেশন প্রটোকল এর উল্লেখযোগ্য একটি দিক হলো বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি। মামলা জট নিরসনে ও দ্রুততম সময়ে মধ্যস্ততার মাধ্যমে মামলা নিষ্পত্তি করার লক্ষ্যে জেলা লিগ্যাল এইড অফিসারগণকে ২০১৫ সালে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমে মামলা নিষ্পত্তির ক্ষমতা প্রদান করা হয়। তাঁরা নিরলসভাবে এডিআর এর উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। ইতিমধ্যে এডিআর এর মাধ্যমে ২০১৫ সাল থেকে ২০১৮ এর এপ্রিল পর্যন্ত মোট ৮১২৯টি মামলা নিষ্পত্তি করা হয়েছে। বর্তমান সরকার দেওয়ানী মামলার জট কমাতে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। মামলার জট নিরসনে আমাদের আইন ব্যবস্থার সঙ্গে মানানসই পৃথিবীর অন্যান্য দেশের ব্যবস্থা সমূহ অবশ্যই সক্রিয় বিবেচনায় থাকবে।
ভোলা-৩ আসন থেকে নির্বাচিত নুরুন্নবী চৌধুরীর লিখিত প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, আইন কমিশনকে শক্তিশালী ও কার্যকর এবং গতিশীল করার লক্ষ্যে ৩টি পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। এগুলোর মধ্যে আইন কমিশনের স্থায়ী ও নিজস্ব অফিস স্থাপনের জন্য বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট ভবনের ১১-১২ তলা ঊর্ধ্বমুখি ভবনের কাজ চলমান রয়েছে। এ ভবন নির্মাণের জন্য ১৪ কোটি ৭২ লাখ টাকা বরাদ্দ আছে এবং কমিশনের গতিশীলতা ফেরাতে ৩১টি গবেষকসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরির নতুন পদ সৃজনের প্রক্রিয়া চলমান আছে।
সিলেট-৩ আসন থেকে নির্বাচিত এমপি মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর লিখিত প্রশ্নের জবাবে সংসদকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, বাড়িওয়ালা ও ভাড়াটিয়ার মধ্যে বাড়ি ভাড়া নিয়ে সৃষ্ট পরিস্থিতি নিরসনের লক্ষ্যে ভাড়াটিয়াদের সুযোগ-সুবিধার দিক খেয়াল রেখে বাড়ি ভাড়া নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৯১ পাস হয়। এ আইনে বাড়ির মালিক ও ভাড়াটিয়ার মধ্যে স¤পর্ক বিনষ্টকারী ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে সুনির্দিষ্ট বিধান রয়েছে। কোন ভাড়াটিয়া সংক্ষুব্ধ হলে তার প্রতিকার প্রাপ্তির সুব্যবস্থা আছে। এ আইনের আশ্রয় নেওয়া গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত সাড়ে ৩ হাজার মামলা আদালতে বিচারাধীন আছে এবং ওই বছরে ৫৬৫টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com