মুহাম্মদ হাবীবুল্লাহ হেলালী ::
দোয়ারাবাজার উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের পশ্চিম টিলাগাঁও গ্রামে মৎস্য ফিসারির পাড় হিসেবে সরকারি রাস্তা ব্যবহার করা হয়েছে। তাছাড়া ওই গ্রামের হযরত আলী সড়কের কালভার্টের মুখ বন্ধ করে পানি প্রবাহের গতিপথে বাধা সৃষ্টি করেছেন। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন ১৫টি পরিবারের মানুষ। সামান্য বৃষ্টিপাত হলেই তাদের ভোগান্তির সীমা থাকে না।
সরেজমিন গিয়ে জানাগেছে, পশ্চিম টিলাগাঁও গ্রামের নিকটবর্তী খাসিয়ামারা নদীর তীরবর্তী বিশাল জলাভূমিতে পাড় তৈরি করে মাছ চাষ করছেন হযরত আলী। দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় ধরে তিনি পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ করে মাছ চাষ করায় বর্ষাকালীন ৬ মাস গ্রামের ১৫টি পরিবারকে পানিবন্দি অবস্থায় দিনাতিপাত করতে হয়। এছাড়া পার্শ্ববর্তী কৃষক হেলাল উদ্দিনের বাগান বাড়িসহ আশপাশের অসংখ্য বসত বাড়ির গাছপালাসহ ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে।
অভিযোগ রয়েছে, হযরত আলী সরকারি কুড়কে পুকুরে পরিণত করে মাছ চাষ করছেন। সরকারি নথিপত্র অনুযায়ী যে কুড়টি জনস্বার্থে পানি নিষ্কাশনের জন্য ব্যবহৃত হওয়ার কথা। অথচ তিনি মৎস্য খামার তৈরি করে মাছ চাষ করছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা কৃষক হেলাল উদ্দিন, মাহমদ আলী ও আনু মিয়া জানান, দীর্ঘদিন ধরে জলাবদ্ধতায় আমরা ভোগান্তি পোহাচ্ছি। বর্তমানে একটু বৃষ্টিপাত হলেই বসত বাড়ির উঠানে হাঁটু সমান পানি লেগে থাকে। বাড়ির আঙিনায় ফলজ ও বনজ বিভিন্ন প্রজাতির গাছগুলো নিচের মাটি সরে গিয়ে বিনষ্ট হয়ে যাচ্ছে। হুমকির মুখে রয়েছে খাসিয়ামারা নদীর বেড়িবাঁধ ও সড়ক। এ রাস্তাটি ভেঙে গেলে যে কোনো সময় উজানের পানিতে কয়েক গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়বেন।
এ ব্যাপারে হযরত আলীর পুত্র ফারুক আহমেদ জানান, মৎস্য ফিসারিটি আমরা অন্যের কাছে বন্ধক রেখেছি। কিছু বলার থাকলে ক্ষতিগ্রস্তরা বন্ধকী ব্যক্তিকে বললেই তো হয়।