সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
রমজান ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ভিজিএফ (ভালনারেবল গ্রুপ ফিডিং) এর আওতায় অতিদরিদ্র ও অসহায় দুস্থ পরিবারকে বিনামূল্যে ১০ কেজি হারে চাল দেবে সরকার। এ জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতর থেকে জেলা প্রশাসকদের চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
বরাদ্দপত্রে বলা হয়েছে, রমজান মাস ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় সারাদেশে ৬৪টি জেলার ৪৯১টি উপজেলায় এবং ক, খ ও গ ক্যাটাগরির ৩২৮টি পৌরসভার অতিদরিদ্র ও অসহায় দুঃস্থ পরিবারের জন্য ১০ কেজি হারে বিনামূল্যে খাদ্য সহায়তা দেয়া হবে। এ জন্য উপজেলায় ৮৮ হাজার টন এবং পৌরসভার জন্য ১২ হাজার ১৫৩ টন ৪৪০ কেজিসহ মোট এক লাখ ১৫৩ টন ৪৪০ কেজি চাল বরাদ্দ দেওয়া হলো।
জেলা প্রশাসকরা ভিজিএফ বরাদ্দের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকায় সংসদ সদস্যকে আবহিত করবেন।
বরাদ্দপত্রে আরও বলা হয়, ভিজিএফ উপকারভোগী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে আদমশুমারি ২০১১ এর জনসংখ্যা অনুযায়ী ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড ভিত্তিক বরাদ্দ করা ভিজিএফ কার্ড সংখ্যা পুনঃবিভাজন করে তালিকা প্রস্তুত করতে হবে। দুঃস্থ আ অতিদরিদ্র ব্যক্তি বা পরিবারকে এ সহায়তা দিতে হবে। তবে সাম্প্রতিক বন্যাক্রান্ত ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত দুঃস্থদের অগ্রাধিকার পাবে।
মোট ১২টি শর্তে ব্যক্তি বা পরিবারকে দুঃস্থ বলে গণ্য করা হবে। শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে- যাদের ভিটাবাড়ি ছাড়া কোন জমি নেই, যে পরিবার দিন মজুরের আয়ের ওপর নির্ভরশীল, যে পরিবারে মহিলা শ্রমিকের আয় বা ভিক্ষাবৃত্তির ওপর নির্ভরশীল, যে পরিবারে উপার্জনক্ষম পূর্ণ বয়স্ক কোনো পুরুষ সদস্য নেই, যে পরিবারে স্কুলগামী শিশুকে উপার্জনের জন্য কাজ করতে হয়, যে পরিবারে উপার্জনশীল কোনো স¤পদ নেই, যে পরিবারের প্রধান স্বামী পরিত্যক্তা, যে পরিবারের প্রধান অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা, যে পরিবারের প্রধান অসচ্ছল ও অক্ষম প্রতিবন্ধী, যে পরিবার কোনো ক্ষুদ্র ঋণ পায়নি, যে পরিবার প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হয়ে চরম খাদ্য বা অর্থ সঙ্কটে পড়েছে এবং যে পরিবারের সদস্যরা বছরের অধিকাংশ সময় দু’বেলা খাবার পায় না।
তালিকা এমনভাবে তৈরি করতে হবে যেন একই পরিবারের একাধিক ব্যক্তি ভিজিএফ কার্ড বরাদ্দ না পায়। বরাদ্দ করা খাদ্যশস্য আগামী ১৪ জুনের মধ্যে উত্তোলন করতে হবে এবং ঈদের আগেই বিতরণ কার্যক্রম শেষ করতে হবে।
উপকারভোগী নির্বাচনের ক্ষেত্রে কমপক্ষে ৭০ শতাংশ নারীকে অন্তর্ভুক্ত নিশ্চিত করতে হবে। এর ব্যত্যয় হলে সংশ্লিষ্ট জেলা পুনর্বাসন কর্মকর্তা ও উপজেলা বাস্তবায়ন কর্মকর্তারা দায়ভার বহন করবেন।