সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
খোলা বাজারে বিক্রির (ওএমএস) চালের দাম কেজিতে ২০ টাকায় নামিয়ে আনার পরামর্শ দিয়েছে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম)। এ সংস্থার নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক সেলিম রায়হান বলছেন, প্রান্তিক মানুষের মধ্যে কম দামে পণ্য বিক্রির জন্যই ওএমএস কর্মসূচি। সেখানে চালের দাম ১৫ টাকা কেজি থেকে বাড়িয়ে একলাফে ৩০ টাকা করার কোনো যুক্তি তারা খুঁজে পাচ্ছেন না।
বুধবার ঢাকার একটি হোটেলে ‘সানেমের দৃষ্টিতে বাংলাদেশের অর্থনীতির ত্রৈমাসিক পর্য়ালোচনা’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন সেলিম রায়হান।
অর্থবছরের ত্রৈমাসিক পর্যালোচনার মূল প্রবন্ধে সেলিম রায়হান বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে মজুদ ও বাজারমূল্য বিবেচনায় সরকার ওএমএস এর চালের দাম কেজিতে ৫ টাকা বাড়িয়ে সর্বোচ্চ ২০ টাকা নির্ধারণ করতে পারে। বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ার যুক্তি দেখিয়ে সরকার এ সপ্তাহের শুরুতে খোলা বাজারে বিক্রির চালের দাম বাড়িয়ে দ্বিগুণ করে।
খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. বদরুল হাসান গত রোববার গণমাধ্যমকে বলেন, বাজার দর ও ওএমএস এর চালের দামে পার্থক্য বেশি থাকলে ‘লিকেজের সম্ভাবনা’ বাড়ে।
সানেমের নির্বাহী পরিচালক বলেন, এক বছর আগের তুলনায় সম্প্রতি মোটা চালের দাম ৪৪ শতাংশ বেড়েছে। তার ওপর ওএমএস এ চালের দাম দ্বিগুণ করা হলে প্রান্তিক মানুষের জন্য চাল কেনা কঠিন হয়ে যাবে।
দেশের বাজারে চালের যোগান ঠিক রাখতে ভারত, কম্বোডিয়া ও মিয়ানমার থেকে চাল আমদানির পাশাপাশি মজুদদারদের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার কথা বলেছে গবেষণা সংস্থাটি।