1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৫০ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

খালেক রাজাকার পুত্রের দম্ভোক্তি ‘আমার বাবা এদেশের সবচেয়ে বড় রাজাকার’

  • আপডেট সময় রবিবার, ৩ এপ্রিল, ২০১৬

শাল্লা প্রতিনিধি ::
‘আমার বাবা এদেশের সবচেয়ে বড় রাজাকার ছিলেন’ বলে দম্ভোক্তি করেছেন সুনামগঞ্জ জেলার অন্যতম রাজাকার শাল্লার উজানগাঁও গ্রামের আব্দুল খালেকের পুত্র আমেরিকান প্রবাসী জুবায়ের আহম্মেদ। গতকাল শনিবার সকালে শাল্লায় হঠাৎ করে হেলিকপ্টারে এসে তিনি এ ঘোষণা দেন। এদিকে তাঁর আগমনের খবর পেয়ে স্থানীয় আ.লীগ প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে। তাঁরা রাজাকারপুত্রকে দুই মিনিটের মধ্যে শাল্লা ছাড়ার নির্দেশনা দিলে হেলিকপ্টারে উঠার সময় জুবায়ের আহমদ একাত্তরে তার বাবার কৃতকর্মের জন্য গর্ব করে তার বাবাকে ‘শ্রেষ্ঠ রাজাকার’ হিসেবে পরিচয় দেন।
এলাকাবাসী জানান, উজানগাঁও গ্রামের বাসিন্দা ও একাত্তরের কুখ্যাত রাজাকার আব্দুল খালেকের জ্যেষ্ঠ পুত্র আমেরিকান প্রবাসী জুবায়ের আহম্মেদ গতকাল শনিবার সকালে শাহীদ আলী মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে হঠাৎ একটি হেলিকপ্টার নিয়ে নামেন। তার আগমনের খবর পেয়ে স্থানীয় জনতা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। জানা গেছে ১৯৭৫ সনের পর থেকেই রাজাকার আব্দুল খালেকের এই পুত্র প্রতিবছরই হেলিকপ্টারে স্বল্পসময়ের জন্য শাল্লায় আসেন। তার কিছু বিশ্বস্থ কর্মী সংক্ষিপ্ত আয়োজন আগেই করে রাখে। তবে এবারের মতো আর কোনদিন তিনি প্রতিরোধের মুখে পড়েননি বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
জুবায়ের আহম্মেদ হেলিকপ্টার থেকে মাথায় পাগড়ি, গায়ে সাদা পাঞ্জাবি ও সাদা পা-জামা পরে তিনজন লোককে নিয়ে অবতরণ করেন। এ খবর পেয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ সাধারণ জনতা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন। তারা রাজাকারপুত্রের আগমনের প্রতিবাদে হেলিকপ্টার ঘেরাও করে বিক্ষোভ মিছিল করে দুই মিনিটের মধ্যে তাকে এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দেন। জনরোষ টের পেয়ে জুবায়ের আহম্মেদ ফের হেলিপ্যাডের সামনে চলে আসেন।
হেলিকপ্টারে ওঠার সময় তিনি বলেন, আমার বাবা এদেশের সবচেয়ে বড় রাজাকার ছিলেন। তার কবর কবর জিয়ারত করার জন্য প্রতি বছর আমি এখানে আসি। বলেই তিনি হেলিকপ্টারে ওঠে পড়েন।
মুক্তিযোদ্ধারা জানান, রাজাকার আব্দুল খালেকে মুক্তিযোদ্ধারা ১৯৭১ সনে শাল্লা সদরস্থ কলাকান্দি নদীরপাড়ে হত্যা করে তার লাশ নদীতে ফেলে দেন। বাবার কবর জিয়ারতের নামে প্রতি বছর এভাবে হেলিকপ্টারে এসে জুবায়ের আহম্মেদ মুক্তিযুদ্ধবিরোধী কথাবার্তা বলে যান বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। তবে এবার জনরোষ দেখে দ্রুত সটকে পড়েন তিনি। তার হেলিকপ্টার ঘিরে স্থানীয় জনতা ‘রাজাকারেরর আস্তানা/ শাল্লায় হবে না’ বলে স্লোগান দেন।
রাজাকার পুত্রের আগমন ও দম্ভোক্তির প্রতিবাদে অনুুষ্ঠিত মিছিলে উপস্থিত উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি বিশ্বজিৎ চৌধুরী নান্টু, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব, যুবলীগ নেতা অরিন্দম চৌধুরী অপু, শাল্লা ডিগ্রি কলেজ শাখার সভাপতি দীপঙ্কর তালুকদার, যুবলীগ নেতা হুমায়ুন আহমেদ, যুবলীগ নেতা অজয় তালুকদার, উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক পলাশ চৌধুরী, যুবলীগ নেতা ফণিভূষণ সরকার, যুবলীগ নেতা আল আমিন, ছাত্রলীগ নেতা হিমাদ্রী সরকার হিমেল প্রমুখ।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com