স্টাফ রিপোর্টার ::
বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল কর্তৃক ‘গণমাধ্যমে হলুদ সাংবাদিকতা প্রতিরোধ ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা’ শীর্ষক কর্মশালায় চোরাকারবার ও অপসাংবাদিকতার সাথে যুক্ত ব্যক্তিদের সনদপত্র দিয়ে ‘স্বীকৃতি’ দেয়ায় কর্মশালার সনদপত্র ফিরিয়ে দিয়েছেন সুনামগঞ্জের ১১ সাংবাদিক।
শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিমের কাছে একযোগে সনদপত্রসহ প্রশিক্ষণ উপকরণ ও খাবার ফেরত দিয়ে কর্মশালাস্থল থেকে বের হয়ে আসেন বিক্ষুব্ধ সাংবাদিকরা। বিক্ষুব্ধ এই সাংবাদিকরা হলেন, ৭১ টেলিভিশন ও দৈনিক কালের কণ্ঠের সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি শামস শামীম, এনটিভি প্রতিনিধি দেওয়ান গিয়াস চৌধুরী, চ্যানেল-২৪ প্রতিনিধি এআর জুয়েল, আরটিভি প্রতিনিধি বিন্দু তালুকদার, শহীদনূর আহমেদ, ডিবিসি নিউজ প্রতিনিধি আসাদ মনি, বৈশাখী টেলিভিশনের প্রতিনিধি কর্ণ বাবু দাস, এখন টেলিভিশনের প্রতিনিধি লিপসন আহমদ, বাংলা টিভি প্রতিনিধি আল হাবীব ও দীপ্ত টিভির প্রতিনিধি সোহানুর রহমান সোহান।
আরটিভি’র প্রতিনিধি শহীদনূর আহমেদ সনদপত্র ফিরিয়ে দেয়ার বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রেস কাউন্সিল খুব ভালো একটি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। তবে দুঃখজনক হলেও সত্য এই প্রশিক্ষণ কর্মশালায় চোরাকারবার, বীমা কেলেঙ্কারি, অপসাংবাদিকতার সাথে জড়িত একাধিক ব্যক্তিকে প্রশিক্ষণে এনে সনদপত্র প্রদান করে মূলধারার সাংবাদিকদের খাটো করা হয়েছে। হলুদ সাংবাদিকতা প্রতিরোধ করতে গিয়ে সনদপত্র প্রদানের মাধ্যমে এই লোকদের প্রমোট করা হয়েছে। যা মানা যায় না।
৭১ টেলিভিশনের সাংবাদিক শামস শামীম বলেন, বিষয়টি অপমানজনক। আমি সনদপত্র না নিয়ে বের হয়ে এসেছি। সহকর্মী যারা এর প্রতিবাদ করেছেন, তাদের সাধুবাদ জানাই।
এদিকে সনদপত্র ফেরতের সময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী ও জেলা তথ্য কর্মকর্তা মো. আব্দুস ছাত্তার বিক্ষুব্ধ সাংবাদিকদের সনদপত্র গ্রহণে অনুরোধ জানালেও সনদ না নিয়েই প্রশিক্ষণ কর্মশালাস্থল ত্যাগ করেন ক্ষুব্ধ সাংবাদিকরা।