সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
রমজানে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি সরকারের বিভিন্ন দপ্তর ও বাহিনীর সদস্যরা জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জনসেবা করাই বড় বিষয়।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে বৃহ¯পতিবার সকালে কুমিল্লা ও ময়মনসিংহ সিটির মেয়র, ময়মনসিংহের নির্বাচিত কাউন্সিলর এবং কুড়িগ্রাম, ঠাকুরগাঁও, সিরাজগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হবিগঞ্জ জেলা পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যানদের শপথ অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বক্তব্যে পার্টি না করে ইফতার বণ্টনের বিষয়টি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইফতার পার্টি বাদ দিয়ে আমাদের দলের নেতা-কর্মী এবং অন্যান্য আমাদের প্রশাসন থেকে শুরু করে, এমনকি সরকারি প্রতিটি প্রতিষ্ঠান, তাদেরকেও আমরা নির্দেশ দিয়েছি, তাদের এই পার্টি বাদ দিয়ে বরং সাধারণ মানুষ বা তাদের স্ব স্ব কর্মস্থলে যারা সীমিত আয়ে চলে, তাদের মাঝে ইফতার বণ্টন করা। তারা সেটা খুব ভালোভাবে করে যাচ্ছে। আমাদের দলের যারা তারা তো করে যাচ্ছেই; তা ছাড়া আমাদের জনপ্রশাসন বা সশস্ত্র বাহিনী বা আমাদের পুলিশ থেকে শুরু করে যত প্রতিষ্ঠান আছে, তারাও কিন্তু করে যাচ্ছে। এমনকি ব্যবসায়ীরাও এখন মাঠে নেমেছে। তারাও মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। তাদের ইফতার বণ্টন করছে। ফলে মানুষের যাতে রমজান মাসে কষ্ট না হয, সে কষ্টটা কিছুটা হলেও লাঘব করতে পেরেছি।
জনগণের সেবার বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, জনসেবা করাটাই বড় কথা। পার্টি খাওয়ার জন্য তো না। আমরা একসাথে পার্টি তো পরে ভবিষ্যতেও করতে পারব, কিন্তু আজকে মানুষের পাশে দাঁড়ানো, সেটাই তো সব থেকে আগে দায়িত্ব; সব অগ্রাধিকার এটা আমাদের। কাজেই সেইভাবেই মানুষের পাশে আমরাও আছি, দাঁড়াচ্ছি। আমাদের সমস্ত সুবিধা যেগুলি শহরের মানুষ পায়, সেগুলো গ্রামের মানুষও যাতে পায়, তার ব্যবস্থা করেছি।
সর্বজনীন পেনশনের বিষয়ে সরকারপ্রধান বলেন, আর একটি কাজ আমি করেছি। এটা আমাদের রাজনৈতিক কর্মীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তা ছাড়া যারা সরকারি চাকরি করে না, তাদের জন্য, সেদিকে লক্ষ রেখে আমরা সার্বজনীন পেনশন স্কিম তৈরি করেছি।
জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনসেবার দিকে বিশেষ দৃষ্টি দেবেন। সেটা নিশ্চিত করতে পারলে ভবিষ্যতে ভোটের কোনো চিন্তা থাকবে না। মানুষ আপনাদের ওপর আস্থা রাখবে, বিশ্বাস রাখবে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, জনগণকে উন্নত সেবা দেয়া, জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন, পরিকল্পিত নগর গড়ে তোলাই হচ্ছে সরকারের লক্ষ্য। গ্রামের মানুষ শহরের সব সুবিধা পাবে, সেটাকে সামনে রেখে আমরা সব পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছি।
তিনি বলেন, চিকিৎসাসেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য জাতির পিতা প্রথমে ইউনিয়ন পর্যায়ে ১০ শয্যার হাসপাতাল তৈরি করার ব্যবস্থা নিয়েছিলেন। তিনি স¤পন্ন করতে পারেননি। আমি সরকারে আসার পর কমিউনিটি ক্লিনিক করলাম। ৩০ ধরনের ওষুধ আমরা বিনা মূল্যে দিচ্ছি। আপনারা জনপ্রতিনিধি হিসেবে এসব দিকে নজর দেবেন যেন স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলো সঠিকভাবে চলছে কি না, মানুষ চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে কি না।