গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে যে, “পরীক্ষার জায়গা ও লোক নেই এই অজুহাতে সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা, সেকশন অফিসার, অফিস সহকারী ও ক¤িপউটার অপারেটরসহ চারটি পদে ৩০০ জনের পরীক্ষা নেওয়া হবে গাজীপুরে ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে। গত ৩১ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার জি.এম. শহিদুল আলম কর্তৃক স্বাক্ষরিত প্রবেশপত্রে এই নির্দেশনা ছিল। কিন্তু এর প্রতিবাদে গতকাল শুক্রবার জেলার সুধীজনরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সোচ্চার হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. আবু নঈম শেখ এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার কথা জানিয়েছেন।” খুব ভালো কথা, শেষ পর্যন্ত বোধোদয় হয়েছে। আমরা গৃহীত সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে বিশ^বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অভিনন্দন জানাই।
সম্মানিত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উক্ত সিদ্ধান্ত ইতোমধ্যে বিদগ্ধজন কর্তৃক সমালোচিত হয়েছে। সুনামগঞ্জে বিশ্ববিদ্যালয়ের জায়গা হতে পারে কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকনিয়োগের পরীক্ষা অনুষ্ঠানের জায়গা নেই, এমন অসম্ভব কল্পনা কী করে সম্ভব হয় কছিুতেই বোধগম্য নয়। এমন অদ্ভুত ও বিপরীত কর্মকল্পনা করা কারও পক্ষে তখনই হতে পারে যখন তিনি সুনামগঞ্জের মাটির সঙ্গে ওতপ্রোত কেউ নন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ‘সুনামগঞ্জে পরীক্ষার জায়গা নেই এবং নেই লোকবল’ এইরূপ মিথ্যাচার না করলেও পারতেন। কেন করেছেন নিশ্চয়ই এর কোনও গোপন স্বার্থসংক্রান্ত কারণ আছে। কারণ কারণ ছাড়া তো কোনও কার্য সংঘটিত হয় না। সুনামগঞ্জের সাধারণ মানুষের প্রশ্ন এই যে, সুনামগঞ্জের সম্মান ভূলুণ্ঠিত করে গাজীপুরে কেন পরীক্ষা অনুষ্ঠানের কথা ভাবা হলো, এর রহস্য কী? কর্তৃপক্ষ গাজীপুরে পরীক্ষা অনুষ্ঠান করবেন, কিন্তু তা করতে গিয়ে ‘সুনামগঞ্জে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের জায়গা নেই’ এই মিথ্যাচার করে সুনামগঞ্জকে অপমানিত করার অধিকার কর্তৃপক্ষের আছে কি অথবা সে-অধিকার কর্তৃপক্ষকে কে দিয়েছে?
এরপর জনমনে একটি প্রশ্নের উদ্রেক হয়েছে, প্রশাসনিক কাজের জন্যে সুনামগঞ্জেকে যে-কর্তৃপক্ষ অনুপযুক্ত মনে করেন, সে-কর্তৃপক্ষের পক্ষে সুনামগঞ্জে থেকে প্রশাসনিক কাজ পরিচালনার কোনও যৌক্তিকতা আসলেই আছে কি? যদি না থাকে তবে করণীয় কী হতে পারে? এর একটি সহজ সমাধান চাই। এই প্রেক্ষিতে কেউ কেউ বলছেন, সুনামগঞ্জের বিশ^বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষকে সুনামগঞ্জের কেউ হতে হবে।