খবরে প্রকাশ, ‘সুরমা গিলছে কাঁচামালের মার্কেট’। বলা হয়েছে, “সুনামগঞ্জ পৌর শহরের প্রধান মাছ বাজারের পাশে প্রায় তিন মাস আগে নির্মিত হয়েছে বিশাল কাঁচামালের মার্কেট। এই মার্কেটের নদীরপাড়ের পূর্ব কোণের ৫টি পাকা দোকানকোঠা ভেঙে পড়েছে। ঝুঁকিতে আছে একই সারির আরও ২০টি পাকা দোকানকোঠা। গত সপ্তাহ থেকে সুরমা নদীর ভাঙনে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। দিন দিন নদীভাঙন তীব্র হচ্ছে বলে জানান মার্কেটের ব্যবসায়ীরা।”
এই সংবাদের নির্গলিতার্থ একটাই, সুনামগঞ্জ শহর নদীর গ্রাসে বিলীন হওয়ার প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া কার্যকর আছে। অর্থাৎ নদীভাঙনের অপ্রতিহত গতি কার্যকর থাকলে কালক্রমে জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়, জেলা প্রশাসকের বাসভবন, জেলা জজসাহেবের বাসভবন, পৌরবিপণি, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরি, পশ্চিমবাজারসহ অনেক স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। এমতাবস্থায় বুদ্ধি খরচ করে বুঝতে হয় না যে, নদীভাঙন রোধ অর্থাৎ নদীশাসন প্রকল্প অগ্রাধিকারভিত্তিতে বাস্তবায়নে অগ্রসর হতে হবে, অথচ তা না করে অনিবার্য ভাঙনের মুখে নির্মাণ করা হয়েছে স্থাপনা, যা ৩ মাসের মাথায় নদীগর্ভে যথারীতি বিলীন হয়ে যাচ্ছে এবং প্রকারান্তরে প্রমাণিত হয়েছে যে, দেশের প্রযুক্তিবিদ্যা ও স্থাপনা নির্মাণ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান সত্যিকার অর্থে পশ্চাৎপদ নয় বরং অন্তর্ঘাতপ্রবণতায় আক্রান্ত ও অসুস্থ।
সমালোচনার আরও অনুপুঙ্খ গভীরে না গিয়ে আমরা কেবল বলতে পারি, এর (প্রকৌশলী ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবিমৃষ্যকারিতার) একটি বিহিত ব্যবস্থা করা দরকার।