মো. শাহজাহান মিয়া ::
জগন্নাথপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটিতে ঠাঁই পেতে পদ প্রত্যাশীদের দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে। নতুন এ কমিটিতে স্থান পেতে ও কাক্সিক্ষত পদ-পদবী বাগিয়ে নিতে স্থানীয়, জেলা ও কেন্দ্রীয় হাই কমান্ডে জোর লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন পদ প্রত্যাশীরা।
দীর্ঘ ৮ বছর পর গত ১৬ নভেম্বর জগন্নাথপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলন শেষে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ৪ সদস্য বিশিষ্ট নতুন আংশিক কমিটি ঘোষণা করেন সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিউর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমন। নবঘোষিত কমিটির সভাপতি হলেন নবনির্বাচিত উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আকমল হোসেন, সহ-সভাপতি সাবেক পৌর মেয়র মিজানুর রশীদ ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রিজু ও যুগ্ম-সম্পাদক সৈয়দপুর-শাহারপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হাসান।
এর মধ্যে নতুন কমিটির সভাপতি আকমল হোসেন আগের কমিটির সভাপতি ও নতুন কমিটির সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রিজু আগের কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। নতুন মুখ হলেন সহ-সভাপতি মিজানুর রশীদ ভূইয়া ও যুগ্ম-সম্পাদক আবুল হাসান। এতে পুরনো নেতৃত্বতেই আস্থা রাখলেন জেলা কমিটি।
এদিকে, নতুন ৪ সদস্যবিশিষ্ট আংশিক কমিটি ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই পূর্ণাঙ্গ ৭১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন নিয়ে তোড়জোড় চলছে। এখনো পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন হয়নি। এর মধ্যে আগামী ৬ ডিসেম্বর সুনামগঞ্জ জেলা কমিটির সম্মেলন হবে। আশা করা হচ্ছে, জেলা সম্মেলনের আগেই জগন্নাথপুর উপজেলা পূর্ণাঙ্গ কমিটি হবে। তাই নতুন এ কমিটিতে কাক্সিক্ষত পদ-পদবী পেতে আগের কমিটির পদবীধারীরাসহ নতুন করে অনেকে জোর লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন।
জগন্নাথপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রিজু বলেন, সুনামগঞ্জ জেলা কমিটি আমাদের উপজেলা কমিটি অনুমোদন করবেন। তাই জেলা কমিটির সাথে সমন্বয় করে পূর্ণাঙ্গ উপজেলা কমিটি গঠন করা হবে। এতে দলের ক্ষতি হয়, এমন ব্যক্তিকে কমিটিতে রাখা যাবে না। শুধুমাত্র দলের নিবেদিত কর্মীরাই পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে স্থান পাবেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নতুন এ কমিটিতে পদপ্রত্যাশীদের লবিংয়ের শেষ নেই। এককথায় যে যেভাবে পারছেন, জোর লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে নিবেদিতপ্রাণ, পরীক্ষিত এবং যোগ্যরাই কমিটিতে স্থান পাবেন।