শাল্লা প্রতিনিধি ::
হাওরের ফসল রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় শাল্লা উপজেলার ৬টি হাওরে ভাঙা বন্ধকরণ ও মেরামত কাজের ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে পিআইসি পেতে কৃষকদের ৬টি শর্ত মেনে আবেদন করতে হবে। সম্প্রতি এমনই একটি নির্দেশনা দিয়েছেন উপজেলা কাবিটা স্কীম বাস্তবায়ন ও মনিটরিং কমিটির সভাপতি নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু তালেব। শর্তগুলো হলো- প্রকল্পের সভাপতি, সদস্য সচিবসহ সকল সদস্যদের ইউপি চেয়ারম্যান কর্তৃক নাগরিক সনদপত্র, জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি, পাসপোর্ট সাইজের ছবি, জমির খতিয়ান (পর্চা), সংশ্লিষ্ট মৌজা ম্যাপের ফটোকপি, প্রকৃত কৃষক হিসেবে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কর্তৃক প্রত্যয়নপত্র ও কৃষিকার্ড। আগামী ২৮ নভেম্বরের মধ্যে পিআইসি’র জন্য আবেদন করতে বলা হয়েছে। প্রতিটি প্রকল্পের জন্য ৫-৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।
সংশোধিত কাবিটা নীতিমালা ২০১৭ অনুযায়ী এই শর্তগুলো মানার কথা থাকলেও, বিগত বছরগুলোতে এসব নিয়ম মানা হয়নি বলে জানিয়েছেন এলাকার কৃষকরা। ফলে হাওরে জমি নেই এমন ব্যক্তিরাও বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প পেয়েছিল। কিন্তু নতুন করে এই ৬টি শর্ত দেয়ায় অনিয়ম কিছুটা কমে আসবে বলে মত কৃষকদেরই।
এবছর সুনামগঞ্জ জেলায় হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। তবে বাঁধের সার্ভে (জরিপ) কাজ চলমান থাকায় উপজেলা পর্যায়ে এখনও বরাদ্দ দেয়া হয়নি। এবছর শাল্লা উপজেলার ৬টি হাওরে ১৬০ কিলোমিটারেরও বেশি বাঁধের ভাঙা বন্ধকরণ ও মেরামত করা হবে। এপর্যন্ত ৪০ভাগ জরিপকাজ স¤পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ সহকারী প্রকৌশলী ও উপজেলা কাবিটা স্কীম বাস্তবায়ন ও মনিটরিং কমিটির সদস্য সচিব আব্দুল কাইয়ুম বলেন, কৃষকদের অবগতির জন্য বিজ্ঞপ্তির পাশাপাশি ব্যাপকভাবে মাইকিংয়ের মাধ্যমেও প্রচার করা হচ্ছে। এবিষয়ে উপজেলা কাবিটা স্কীম ও মনিটরিং কমিটির সভাপতি নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তালেব বলেন ৬টি শর্ত মূলত স্বচ্ছতার জন্য। আবেদন করার ক্ষেত্রেও শৃঙ্খলা থাকবে। অনিয়মও অনেকটা কমে আসবে বলে জানান তিনি।