1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ১০:৩৮ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছে খালেদা জিয়ার পরিবার

  • আপডেট সময় সোমবার, ১৩ জুন, ২০২২

সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছে তার পরিবার। রোববার বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন এ তথ্য জানান।
জাহিদ হোসেন বলেন, হৃদপিণ্ডে আরও দুটি ব্লকসহ নানা জটিলতার কারণে বিএনপি চেয়ারপারসনকে ৭২ ঘণ্টার নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছে এভারকেয়ার হাসপাতালের মেডিক্যাল বোর্ড।
তিনি বলেন, শনিবার ম্যাডামের হার্টে এনজিওগ্রাম করার পর তিনটি ব্লক পাওয়া যায়। একটা ব্লক মেইন গ্রেট ভ্যাসেলে, যেটা বাম দিকের মধ্যে ৯৫ শতাংশের বেশি ব্লক ছিল। যে কারণে ওনার হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। এনজিওগ্রামের পর ওখানে সঙ্গে সঙ্গে স্টেন্টিং করা (রিং পরানো) হয়েছে। এখন উনি সিসিইউতে কার্ডিওলজিস্টদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন।
জাহিদ হোসেন আরও বলেন, এখন পর্যন্ত উনি (খালেদা জিয়া) শারীরিকভাবে যে অবস্থায় আছেন ডাক্তারদের বক্তব্য হলো, ৭২ ঘণ্টা না গেলে কোনো মন্তব্য করা ঠিক হবে না।
বাকি দুটি ব্লক স¤পর্কে তিনি বলেন, ম্যাডামের শরীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তী সময়ে অপসারণ করা হবে। কারণ ওনার ক্রনিক কিডনি ডিজিজ ও ক্রনিক লিভার ডিজিজ আছে। যেসব ওষুধ উনি সেবন করেন সে ক্ষেত্রে কিডনির ক্ষতিগ্রস্তের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। সে জন্য আরও দুটি ব্লক অপসারণের কাজ বাকি রাখা হয়েছে। নানা দিক বিবেচনা করে মেডিক্যাল বোর্ড ক্রিটিক্যালি যেটা ওনাকে বেশি কষ্ট দিচ্ছে সেটায় স্টেন্টিং করেছে।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসার ব্যাপারে ডাক্তাররা সার্বক্ষণিকভাবে নজর রাখছেন বলে জানান তিনি। বলেন,‘টাইম টু টাইম ওনার স্বাস্থ্যের প্রতি নজর রাখছেন। ম্যাডামের পরিবারসহ কাউকে ডাক্তাররা রোগীর কাছে অ্যালাউ করছেন না। আমরা নিজেরাও সেখানে বেশি যাতায়াত করছি না। বাইরে থেকে যতটুকু সহযোগিতা করার করছি।
শুক্রবার রাতে গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’য় হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করলে দ্রুত রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় খালেদা জিয়াকে।
গত বছরের ১৩ নভেম্বর থেকে খালেদা জিয়া রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এরপর তার শরীরে কয়েক দফায় অস্ত্রোপচার করা হয়। ২৮ নভেম্বর চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। সেদিনই তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। পরবর্তী সময়ে সেই সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করে হাইকোর্ট। পরে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলাতেও তাকে কারাদণ্ড দেয়া হয়।
দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হলে সরকারপ্রধানের নির্বাহী আদেশে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ শর্তসাপেক্ষে দণ্ড স্থগিত করে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে ছয় মাসের জন্য সাময়িকভাবে মুক্তি দেয়া হয়। এরপর কয়েক দফায় খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com