1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১২:১২ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

ভোগান্তির নাম পান্ডারগাঁও-বড়কাপন সড়ক

  • আপডেট সময় শুক্রবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২১

আশিস রহমান ::
খানাখন্দ ও গর্তে ভরা সড়ক। যানবাহন চলাচলের কোনো উপায় নেই। সেতু আছে, নেই অ্যাপ্রোচ কিংবা সংযোগ সড়ক। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে চরম ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে দোয়ারাবাজার উপজেলার পান্ডারগাঁও ইউনিয়নের পান্ডারগাঁও ভায়া বড়কাপন সড়ক। দীর্ঘ প্রায় এক যুগেরও অধিক সময় ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে জনগুরুত্বপূর্ণ এই পাকা সড়কটি।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পান্ডারগাঁও-বড়কাপন ১৯ কিলোমিটার সড়কে পার্শ্ববর্তী ছাতক উপজেলার জাউয়া বাজার ইউনিয়ন, শান্তিগঞ্জ উপজেলার পূর্বপাগলা ইউনিয়ন এবং দোয়ারাবাজার উপজেলার দোয়ারা সদর, পান্ডারগাঁও, মান্নারগাঁও ও দোহালিয়া ইউনিয়নসহ আশপাশের এলাকার প্রায় লক্ষাধিক মানুষ যাতায়াত করে থাকেন। স্থানীয় সরকার প্রকৌশলের (এলজিইডি) আওতায় ২০০৪-৫ অর্থবছরে এই সড়কের কাজ শুরু হয়। কাজ শেষ হলেও সড়কের জলসী এবং কপলা সেতুর অ্যাপ্রোচের কাজ অস¤পূর্ণ থেকে যায়। পরে কোনো রকমে গোজামিল দিয়ে দায়সারাভাবে অ্যাপ্রোচের কাজ শেষ করা হয়। সেই থেকে আজোবধি জোড়াতালির অ্যাপ্রোচ দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। এরমধ্যে ২০০৯ সালে সড়কের সংস্কারকাজ হয়। কিন্তু টেকসই সংস্কার কাজ না হওয়ায় এক বছর না পেরুতেই সড়কজুড়ে গর্ত ও খানাখন্দের সৃষ্টি হয়। এরপর আর সংস্কার না হওয়ায় প্রতিবছর স্থানীয় পরিবহন শ্রমিকরা নিজস্ব অর্থায়ন ও স্বেচ্ছাশ্রমে সড়কের ভাঙ্গা অংশ মেরামত করে কোনোরকমে চলাচলের উপযোগী করে থাকেন।
স্থানীয় পরিবহন শ্রমিক সংগঠনের সাধারণ স¤পাদক মকদ্দুছ আলী বলেন, এই রুটে আমাদের ৩টি শ্রমিক সংগঠন ও একটি মালিক সমিতি রয়েছে। সড়কটিকে কেন্দ্র করে অসংখ্য শ্রমিকের কর্মসংস্থান হয়েছে। প্রতিদিন শতশত সিএনজি, লেগুনা, অটোরিকসাসহ বিভিন্ন যাত্রীবাহী ও মালবাহী যানবাহন চলছে। আমরা এই সড়কটি সংস্কারের দাবি জানিয়ে আসছি দীর্ঘ দিন ধরে। কিন্তু সরকারিভাবে সংস্কারের কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় প্রতি বছর নিজস্ব অর্থায়নে কাজ করেও কোন কুল-কিনারা পাচ্ছি না।
পান্ডারগাঁও ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা ফয়সল আহমেদ বলেন, এই সড়কটি সংস্কার না হওয়ায় এখানকার ও আশপাশের এলাকার ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। মালামাল পরিবহনের সময় ও ব্যয় বেশি হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা শিক্ষক কামাল উদ্দিন বলেন, আমরা যে কী একটা যাতনার মধ্যে আছি তা এই সড়ক দিয়ে কেউ চলাচল না করলে বুঝানো যাবেনা। গর্ভবতী মহিলা, অসুস্থ ও বয়োবৃদ্ধ মানুষ এই সড়কের নাম শুনলেই ভয় পায়। আমাদের এই দুরাবস্থা দেখার কেউ নেই!
পান্ডারগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহিদ বলেন, সড়কটি মেরামত করা অতিজরুরি। আমি স্থানীয় সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক মহোদয়ের সাথে আলোচনা করেছি। সড়ক ও সেতু যাতে দ্রুত মেরামত করনের কাজ শুরু হয় এ ব্যাপারে এমপি মহোদয় পদক্ষেপ নিবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন।
এলজিইডির দোয়ারাবাজার উপজেলার উপসহকারী প্রকৌশলী সাদিরুল ইসলামের বলেন, এই সড়কটি সংস্কারের জন্য প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। একটি বাজেটে সংস্কারের কথা থাকায় আমরা নতুন কোনো বাজেটে সড়কটি সংস্কারের অনুমোদন আনতে পারছি না। সংস্কারকাজ শুরু হতে দীর্ঘ সময় লাগতে পারে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com