বিশেষ প্রতিনিধি ::
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়ার পর তিন সদস্য প্রার্থী দেখতে পান তাদের দু’জন জীবিত থাকার পরও জাতীয় পরিচয়পত্রে ‘মৃত’ এবং অন্যজনের ভোট পাশের ওয়ার্ডে ‘স্থানান্তর’ করা হয়েছে। ছাতক উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের ভোটের প্রাক্কালে এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনা নজরে এসেছে।
ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ব্রাহ্মণগাঁও গ্রামের মৃত আসক আলীর ছেলে মো. আলী আহমদ ও একই গ্রামের মৃত আবদুল আউয়ালের ছেলে মো. কমর আলীকে মৃত দেখিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র থেকে তাদের নাম বাতিল করা হয়েছে। একই ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের চাকলপাড়া গ্রামের মো. আব্দুল আমিনের ছেলে মো. ছিদ্দেকুর রহমানকে ভোট তার অজান্তে ৯ নম্বর ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়েছে। এই তিন ব্যক্তি ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় ইউপি নির্বাচনে সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চেয়েছিলেন।
বিষয়টি সংশোধনের জন্য তিন ভুক্তভোগী উপজেলা নির্বাচন অফিস ও ইউএনও অফিসে বার বার ধরণা দিয়েও সুরাহা পাচ্ছেন না। এই ঘটনায় নির্বাচন অফিসের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা নিয়েও প্রশ্ন ওঠেছে।
এ নিয়ে ছাতক উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার নিকট পৃথক তিনটি অভিযোগ করেছেন আলী আহমদ, কমর আলী ও ছিদ্দেকুর রহমান।
জানা যায়, আলী আহমমদ চলতি বছেেরর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার লক্ষ্যে যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করে রাখেন। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর গত ১ জুলাই পূবালী ব্যাংক গোবিন্দগঞ্জ শাখায় একাউন্ট খোলতে গেলে কর্তৃপক্ষ জানায় তার (৯০১২৩৮৫৫৭৬১৭৪) জাতীয় পরিচয়পত্রটি অনলাইনে দেখাচ্ছে না। পরে উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে জানতে পারেন জাতীয় পরিচয়পত্রে তাকে মৃত দেখিয়ে তার নাম বাতিল করা হয়েছে। অপর সম্ভাব্য প্রার্থী মো. কমর আলী সম্প্রতি করোনার ভ্যাকসিনের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র (৯০১২৩৮৫৫৭৬৩০৯) নিয়ে নিবন্ধন করতে গেলে সার্ভারে তার নাম না থাকায় নিবন্ধন সম্ভব হয়নি। তিনিও উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে জানতে পারেন জাতীয় পরিচয়পত্রে তাকে মৃত দেখানো হয়েছে। এদিকে, একই ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের চাকল পাড়া গ্রামের মো. ছিদ্দেকুর রহমানের ভোট তার অজান্তে ৯নং ওয়ার্ডে স্থানান্তর করে দিয়েছে কে বা করা। এওয়ার্ডে মেম্বার পদে নির্বাচন করার জন্য মাঠে ছিলেন তিনি। সম্প্রতি দাপ্তরিক কাজ করতে গিয়ে জানতে পারেন তার ভোট অন্য ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়েছে।
ছাতক উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. ফয়েজুর রহমান জানান, জাতীয় পরিচয়পত্রে দুইজনকে মৃত দেখানো ও একজনের ভোট স্থানান্তর সংক্রান্ত তিনটি পৃথক অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠনো হয়েছে।