1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৫২ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

হাওরকেন্দ্রিক পর্যটন : বেড়েছে পর্যটক, বাড়েনি সুযোগ-সুবিধা

  • আপডেট সময় রবিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২১

বিশেষ প্রতিনিধি ::
গত দুই যুগের ব্যবধানে হাওরকেন্দ্রিক পর্যটন স্পটে পর্যটকের সংখ্যা বাড়লেও বাড়েনি কোন ধরনের সুযোগ-সুবিধা। তাহিরপুর উপজেলার বিভিন্ন পর্যটনস্পটগুলো বিপুল সংখ্যক পর্যটক ও দর্শনার্থীদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠলেও তাদের নিরাপত্তায় নেই পর্যাপ্ত ব্যবস্থা। নিরাপত্তার জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশের জন্য দাবি জানিয়ে আসলেও কোন সুফল পাওয়া যায়নি আজও। এদিকে, প্রয়োজনীয় জনবলের বেশি না থাকায় পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে হিমশিম খাচ্ছে তাহিরপুর থানা পুলিশ। শুধু নিরাপত্তাই নয়, নেই দিকনির্দেশক সাইনবোর্ড, ঝড়-বৃষ্টির দিনে নিরাপদ অবস্থানের স্থান, থাকা ও খাওয়ায় ভালোমানের হোটেল রেস্টুরেন্টও নেই। ফলে পর্যটকদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এ বিষয়টি গুরুত্বসহকারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন পর্যটক ও দর্শনার্থীরা।
পর্যটন শিল্পের অপার সম্ভাবনাময় তাহিরপুর উপজেলার টাঙ্গুয়ার হাওর, বারেকটিলা, যাদুকাটা নদী, সীমান্ত ছড়া, শহীদ সিরাজলেক, শিমুল বাগান, লাকমাছড়াসহ একাধিক পর্যটন স্পট ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছে। এসব দর্শনীয় স্থানকে কেন্দ্র করে প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দর্শনার্থী ও পর্যটকগণ ভিড় জমান। তাদের আগমন বেশী বর্ষায়। এ সময় এসেই তারা ভাড়ায় ইঞ্জিনচালিত নৌকা নিয়ে ছুটে যান টাঙ্গুয়ার হাওরসহ অন্যান্য স্থানে। এসব নৌকা নিয়ে পর্যটকরা কখনও টাঙ্গুয়ার হাওর, ট্যাকেরঘাট এলাকায় ও কেউ কেউ যাদুকাটা নদীতে রাতে কোনো ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করেই রাতযাপন করেন। এতে করে বড় ধরনের অঘটনের শঙ্কা রয়েছে বলে মনে করেন সচেতন মহল।
ঢাকা থেকে টাঙ্গুয়ার হাওরে বেড়াতে আসা পর্যটক রুবেল আহমেদ বলেন, এখানে নেই রোদ-বৃষ্টির দিনে আশ্রয়ের কোনো স্থান, নেই বসার অবস্থা। আমরা এতো দূর থেকে এসে নানা দুর্ভোগের সম্মুখীন হই। নৌকায় সবকিছু করতে হয়। তাছাড়া নৌকা ভাড়াও বেশি। হাওরকেন্দ্রিক পর্যটন বিকাশে সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হবে। পর্যটকের নিরাপত্তাসহ সার্বিক ক্ষেত্রে সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে হবে।
ঢাকা টুরিস্ট-এর প্রধান মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, হাওর দেখতে আমাদের মাধ্যমে অনেক ট্যুরিস্ট আসেন। কিন্তু ঝড়-বৃষ্টির দিনে অবস্থান, স্থায়ীভাবে হোটেল, পাবলিক টয়লেট না থাকায় ট্যুরিস্টদের অনেক সমস্যা হয়। এছাড়াও নিরাপত্তার জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশ থাকলে অনেক ভাল হত। না হলে অনেক পর্যটক ও দর্শনার্থী মুখ ফিরিয়ে নিবেন এই সব পর্যটন স্পট থেকে।
টাঙ্গুয়ার হাওরপাড়ের বাসিন্দা সাদেক মিয়া, আলীম উদ্দিনসহ অনেকেই বলেন, টাঙ্গুয়ার হাওরসহ উপজেলার প্রতিটি পর্যটন স্পটে প্রতিদিনই হাজার হাজার পর্যটক আসেন। কিন্তু নিরাপত্তার বিষয়ে আমরাও থাকি দুশ্চিন্তায়। ট্যুরিস্ট পুলিশের ব্যবস্থা করা হলে ভালো হতো, নিরাপত্তা থাকতো।
সমাজসেবক মাসুক মিয়াসহ সচেতন মহল বলেন, যে পরিমাণ পর্যটক ও দর্শনার্থী বিভিন্ন পর্যটন স্পটে আসেন, তাদের নিরাপত্তা ও ঝড় বৃষ্টির দিনে নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা, স্যানিটেশনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা, দিকনির্দেশনা সাইনবোর্ড দেয়া খুবেই প্রয়োজন।
তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ তরফদার জানান, পুলিশ সুপার স্যারের নির্দেশে এই এলাকার আসা প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটকগণকে আমাদের জনবল কম থাকার পরও সাধ্যমত সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেবার চেষ্টা করছি।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রায়হান কবির বলেন, পর্যটক ও দশর্র্র্র্র্র্র্র্নাথীদের সুবিধার জন্য সড়কের মোড়ে মোড়ে পর্যটন স্পটগুলোর রাস্তার নির্দেশনা দিয়ে এবং স্পটগুলোর বিভিন্ন বিষয়াদি উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট স্পটের সাইনবোর্ড টাঙানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান করুণাসিন্ধু চৌধুরী বাবুল বলেন, এ উপজেলার পর্যটন স্পটগুলোতে আগত দেশি-বিদেশি হাজার হাজার পর্যটক ও দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশ ও দিকনির্দেশক সাইনবোর্ড স্থাপনের ব্যবস্থা করা খুবই প্রয়োজন।
পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন, ট্যুরিস্ট পুলিশের কোন ক্যাম্প না থাকায় জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে আমরা নিরাপত্তা দিয়ে থাকি। এখন ট্যুরিস্ট পুলিশ কর্তৃপক্ষ যদি কোন ক্যাম্প করে দায়িত্ব পালন করেন তাহলে সুবিধা হয়।

হাওরকেন্দ্রিক পর্যটন { বেড়েছে পর্যটক, বাড়েনি সুযোগ-সুবিধা
বিশেষ প্রতিনিধি ::
গত দুই যুগের ব্যবধানে হাওরকেন্দ্রিক পর্যটন স্পটে পর্যটকের সংখ্যা বাড়লেও বাড়েনি কোন ধরনের সুযোগ-সুবিধা। তাহিরপুর উপজেলার বিভিন্ন পর্যটনস্পটগুলো বিপুল সংখ্যক পর্যটক ও দর্শনার্থীদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠলেও তাদের নিরাপত্তায় নেই পর্যাপ্ত ব্যবস্থা। নিরাপত্তার জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশের জন্য দাবি জানিয়ে আসলেও কোন সুফল পাওয়া যায়নি আজও। এদিকে, প্রয়োজনীয় জনবলের বেশি না থাকায় পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে হিমশিম খাচ্ছে তাহিরপুর থানা পুলিশ। শুধু নিরাপত্তাই নয়, নেই দিকনির্দেশক সাইনবোর্ড, ঝড়-বৃষ্টির দিনে নিরাপদ অবস্থানের স্থান, থাকা ও খাওয়ায় ভালোমানের হোটেল রেস্টুরেন্টও নেই। ফলে পর্যটকদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এ বিষয়টি গুরুত্বসহকারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন পর্যটক ও দর্শনার্থীরা।
পর্যটন শিল্পের অপার সম্ভাবনাময় তাহিরপুর উপজেলার টাঙ্গুয়ার হাওর, বারেকটিলা, যাদুকাটা নদী, সীমান্ত ছড়া, শহীদ সিরাজলেক, শিমুল বাগান, লাকমাছড়াসহ একাধিক পর্যটন স্পট ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছে। এসব দর্শনীয় স্থানকে কেন্দ্র করে প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দর্শনার্থী ও পর্যটকগণ ভিড় জমান। তাদের আগমন বেশী বর্ষায়। এ সময় এসেই তারা ভাড়ায় ইঞ্জিনচালিত নৌকা নিয়ে ছুটে যান টাঙ্গুয়ার হাওরসহ অন্যান্য স্থানে। এসব নৌকা নিয়ে পর্যটকরা কখনও টাঙ্গুয়ার হাওর, ট্যাকেরঘাট এলাকায় ও কেউ কেউ যাদুকাটা নদীতে রাতে কোনো ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করেই রাতযাপন করেন। এতে করে বড় ধরনের অঘটনের শঙ্কা রয়েছে বলে মনে করেন সচেতন মহল।
ঢাকা থেকে টাঙ্গুয়ার হাওরে বেড়াতে আসা পর্যটক রুবেল আহমেদ বলেন, এখানে নেই রোদ-বৃষ্টির দিনে আশ্রয়ের কোনো স্থান, নেই বসার অবস্থা। আমরা এতো দূর থেকে এসে নানা দুর্ভোগের সম্মুখীন হই। নৌকায় সবকিছু করতে হয়। তাছাড়া নৌকা ভাড়াও বেশি। হাওরকেন্দ্রিক পর্যটন বিকাশে সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হবে। পর্যটকের নিরাপত্তাসহ সার্বিক ক্ষেত্রে সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে হবে।
ঢাকা টুরিস্ট-এর প্রধান মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, হাওর দেখতে আমাদের মাধ্যমে অনেক ট্যুরিস্ট আসেন। কিন্তু ঝড়-বৃষ্টির দিনে অবস্থান, স্থায়ীভাবে হোটেল, পাবলিক টয়লেট না থাকায় ট্যুরিস্টদের অনেক সমস্যা হয়। এছাড়াও নিরাপত্তার জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশ থাকলে অনেক ভাল হত। না হলে অনেক পর্যটক ও দর্শনার্থী মুখ ফিরিয়ে নিবেন এই সব পর্যটন স্পট থেকে।
টাঙ্গুয়ার হাওরপাড়ের বাসিন্দা সাদেক মিয়া, আলীম উদ্দিনসহ অনেকেই বলেন, টাঙ্গুয়ার হাওরসহ উপজেলার প্রতিটি পর্যটন স্পটে প্রতিদিনই হাজার হাজার পর্যটক আসেন। কিন্তু নিরাপত্তার বিষয়ে আমরাও থাকি দুশ্চিন্তায়। ট্যুরিস্ট পুলিশের ব্যবস্থা করা হলে ভালো হতো, নিরাপত্তা থাকতো।
সমাজসেবক মাসুক মিয়াসহ সচেতন মহল বলেন, যে পরিমাণ পর্যটক ও দর্শনার্থী বিভিন্ন পর্যটন স্পটে আসেন, তাদের নিরাপত্তা ও ঝড় বৃষ্টির দিনে নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা, স্যানিটেশনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা, দিকনির্দেশনা সাইনবোর্ড দেয়া খুবেই প্রয়োজন।
তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ তরফদার জানান, পুলিশ সুপার স্যারের নির্দেশে এই এলাকার আসা প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটকগণকে আমাদের জনবল কম থাকার পরও সাধ্যমত সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেবার চেষ্টা করছি।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রায়হান কবির বলেন, পর্যটক ও দশর্র্র্র্র্র্র্র্নাথীদের সুবিধার জন্য সড়কের মোড়ে মোড়ে পর্যটন স্পটগুলোর রাস্তার নির্দেশনা দিয়ে এবং স্পটগুলোর বিভিন্ন বিষয়াদি উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট স্পটের সাইনবোর্ড টাঙানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান করুণাসিন্ধু চৌধুরী বাবুল বলেন, এ উপজেলার পর্যটন স্পটগুলোতে আগত দেশি-বিদেশি হাজার হাজার পর্যটক ও দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশ ও দিকনির্দেশক সাইনবোর্ড স্থাপনের ব্যবস্থা করা খুবই প্রয়োজন।
পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন, ট্যুরিস্ট পুলিশের কোন ক্যাম্প না থাকায় জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে আমরা নিরাপত্তা দিয়ে থাকি। এখন ট্যুরিস্ট পুলিশ কর্তৃপক্ষ যদি কোন ক্যাম্প করে দায়িত্ব পালন করেন তাহলে সুবিধা হয়।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com