1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৩৩ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

ডিসেম্বরে সুরমা সেতুর উদ্বোধন : পূরণ হচ্ছে ছাতক-দোয়ারাবাসীর স্বপ্ন

  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২৯ জুলাই, ২০২১

শহীদনূর আহমেদ ::
ছাতকে সুরমা নদীর ওপর নির্মাণাধীন সেতুর কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। ১৫ বছর আগে নির্মাণ শুরু হওয়া সেতুটি সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে আগামী ডিসেম্বরে চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে বলে জানিয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্র। এই সেতু নির্মাণের মধ্যদিয়ে ছাতক-দোয়ারাবাজারবাসীর যোগাযোগ, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা, চিকিৎসা, আর্থসামাজিকসহ সকল ক্ষেত্রে সুফল বয়ে আনবে। ফলে দুইপাড়ের মানুষের সার্বিক জীবন মানের ইতিবাচক পরিবর্তনে মাইলফলক হবে। সরাসরি যোগাযোগ সৃষ্টি হবে দুই উপজেলাবাসীর মধ্যে।
সুরমা নদীর দুইপাড়ে অবস্থিত ছাতক ও দোয়রাবাজার উপজেলাকে একসূত্রে বাঁধার লক্ষ্য নিয়ে ২০০৬ সালের ২৩ আগস্ট সুরমা নদীর উপর সেতু নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। জমি অধিগ্রহণ জনিত জটিলতা ও অর্থের সংকুলান করতে না পারায় বছরের পর বছর বন্ধ ছিল সেতুটির নির্মাণকাজ। ২০১৬ সালে অসম্পূর্ণ কাজ শেষ করতে ১১৩ কোটি টাকার নতুন একটি প্রকল্প অনুমোদন দেয় একনেক। পরবর্তীতে আরও ২৭ কোটি টাকা বাড়িয়ে ১৪০ কোটি টাকা নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়।
সময়মতো প্রয়োজনীয় অর্থ ছাড় দেওয়ায় দীর্ঘদিন পর টানা কাজ করতে থাকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে মূল সেতুর কাজ ৯০ ভাগ শেষ হয়ে যাওয়া এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন এখন দৃশ্যমান। এই সেতুটি স্থানীয় মানুষের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে প্রত্যাশা এলাকাবাসীর।
সেতুটি নির্মিত হলে ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলার মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজীকরণ, ছাতকের শিল্পকারখানায় উৎপাদিত পণ্য সড়কপথে পরিবহন সহজ হবে। চলাচলের পথে সময় কবে আসবে। ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা, চিকিৎসাসহ, আর্থসামাজিকভাবে নানা সুফল ভোগ করবেন দুই উপজেলার বাসিন্দারা।
দোয়ারাবাজারের ব্যবসায়ী জাকির হোসেন বলেন, আমি একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। সপ্তাহে ৩-৪ বার আমাকে ছাতক নয়, সিলেটে যেতে হয়। সেতুর অভাবে সীমাহীন কষ্ট করেছি। দীর্ঘক্ষণ ফেরির জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে। কোনো কারণে ফেরি মিস হলে মালপত্র নিয়ে ঘণ্টা সময় অপেক্ষা করতে হতো। দীর্ঘ অপেক্ষার পর সেতুটি চালু হওয়ার খবরে সুরমার উত্তরপাড়ের মানুষদের খুশির সীমা নেই।
গণমাধ্যমকর্মী রেজাউল করিম বলেন, ছাতক একটি শিল্পনগরী এলাকা। দেশের অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান এখানে রয়েছে। সুরমা সেতু চালু হলে এই এলাকার সড়ক যোগাযোগে নতুন দিগন্তের দ্বার উন্মোচিত হবে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী কাজী নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা ইতোমধ্যেই সেতুর ৯০ ভাগ কাজ সম্পন্ন করেছি। সংযোগ সড়ক নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হলে আগামী ডিসেম্বরে সেতুটি সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত করা সম্ভব বলে মনে করি। তিনি বলেন, এই সেতু নির্মাণের ফলে ছাতক-দোয়ারাবাজার মানুষের সার্বিক জীবনমানের উন্নয়ন হবে।

 

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com