স্টাফ রিপোর্টার ::
হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের কাজ শেষ হলেই সংবাদ সম্মেলন করে জনগণকে জানাতে উপজেলা কমিটির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সিলেট বিভাগের কমিশনার মশিউর রহমান। তিনি বলেন, সকলের সম্মিলিত সহযোগিতায় কাজ করতে হবে তাহলেই বোরো ফসল ঘরে তোলা সম্ভব।
বিভাগীয় কমিশনার বলেন, জেলার চারটি উপজেলার কাজ বেশি ধীরগতির, এগুলো হচ্ছে শাল্লা, দোয়ারাবাজার, জগন্নাথপুর ও তাহিরপুর। এসব উপজেলার কাজ আরও দ্রুতগতিতে করতে আরও লোকবল নিয়োগ করে সম্পন্ন করার তাগিদ দেন।
শনিবার দুপুরে সুনামগঞ্জ সার্কিট হাউস সম্মেলন কক্ষে হাওরের ফসল রক্ষাবাঁধের কাজের অগ্রগতি নিয়ে জেলা কমিটির সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বিভাগীয় কমিশনার বলেন, পত্রিকার নিউজ দেখে আমরা সতর্ক হই, আমার স্বার্থে আঘাত লাগলেই যদি বলি পরিবেশিত সংবাদ অসত্য তা ঠিক নয়। এ পর্যন্ত ৬২ কোটি টাকা বিল পরিশোধ করা হয়েছে আরও ২০ কোটি টাকা অচিরেই আসবে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী এসএম শহীদুল ইসলাম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খুশিমোহন সরকার, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী-১ মোহাম্মদ সবিবুর রহমান, নির্বাহী প্রকৌশলী-২ মোহাম্মদ সামছুদ্দোহা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা ও প্রযুক্তি মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন, কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ পরিচালক মোহাম্মদ ফরিদুল হাসান, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আলী আমজাদ, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ান, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী নূরুল মোমেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাড. শফিকুল আলম, সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি লতিফুর রহমান রাজুসহ ১১ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাগণ ও জেলা কমিটির সদস্যবৃন্দ।
ইউএনওগণ ও পাউবো’র সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা দাবি করেন ফসল রক্ষাবাঁধের কাজ সামান্য বাকি। কিন্তু জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ এ দাবি নাকচ করে বলেন এ পর্যন্ত ৬০ থেকে ৭০ভাগ মাটির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু ঘাস লাগানো, দুর্মুজ করা, স্লোব এগুলোর কিছুই করা হয়নি।
পরে বিভাগীয় কমিশনার হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধ পরিদর্শন করেন।