1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৩০ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

শাল্লায় নদীর তীর কেটে বাঁধ নির্মাণ!

  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার ::
শাল্লা উপজেলার হবিবপুর ইউনিয়নের ফয়জুল্লাহপুর বাজার এমনিতেই হুমকির মুখে। ইতিপূর্বেই নদীতে বিলীন হয়ে গেছে নতুন বাজারের বড় একটা অংশ। বাজারটি এখনো ভাঙনের মুখে রয়েছে। অন্যদিকে নদী ভাঙন রোধে ২০১৫ সালে এই বাজারে এসেছিলেন তৎকালীন পানিস¤পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। প্রয়াত জাতীয় নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত তাকে নিয়ে এসেছিলেন সেখানে। বাজার সংলগ্ন মাঠে অনুষ্ঠিত জনসভায় তখন মন্ত্রী কুশিয়ারা নদী ভাঙন প্রতিরোধের জন্য ১৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ ঘোষণা করেন। সে অনুযায়ী কাজও কিছু হয়েছে। কিন্তু বাজার সংলগ্ন সেই বিশাল জনসভার মাঠটি আজ বিলীন। মাঠের পাশাপাশি বাজারটিও এখন নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার পথে। এরমধ্যে পিআইসি নামক হাওররক্ষা বাঁধ প্রকল্পের থাবা! বাজারের উত্তরদিকে নদীরপাড় কেটে নেওয়া হচ্ছে বাঁধের জন্য মাটি। তাও আবার জিও বস্তাগুলো রেখে বিশাল গর্ত করে শুধু মাটিটুকুই এস্কেভেটর মেশিন দিয়ে বাঁধের ১৫-২০ ফুট দূর থেকে কাটা হচ্ছে। স্থানীয়রা বলছেন ‘খাল কেটে কুমির ডেকে আনা হচ্ছে’।
ওই গ্রামের মুকুন্দ দাস বলেন, নদী ভাঙন থেকে রক্ষার জন্য হাজার হাজার বস্তা ফালাইছে সরকার। কোটি কোটি টাকা খরচ করছে সরকার আর এখন পিআইসি দিয়া বাজারটাকে আরও ধ্বংস কইরা দিছে। ১৫লাখ টাকারও বেশি বরাদ্দ দিছে। আমাদের ক্ষেত, খলা, জালাচারা সব নষ্ট কইরা লাইবো। আমরা ইউএনওর কাছে ১মাস আগে লিখিত অভিযোগ দিছি।
একই গ্রামের বাসিন্দা প্রবীর দাস বলেন, ৩ লাখ টাকা দিলেই বাঁধ হয়। পুরোনো বাঁধও অক্ষত।
জগবন্ধু দাস বলেন, আমরা নিরীহ মানুষ। আমাদের কথা তারা শুনে না। পিআইসি দিয়া সব নষ্ট করতাছে।
ফয়জুল্লাহপুর বাজারের পেছনে বিকল্প বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের ৫নং পিআইসির সভাপতি সাদ্দাম হোসেনকে প্রকল্প এলাকায় পাওয়া যায়নি। তার বাঁধে সাইনবোর্ডও নেই।
উপস্থিত জনতা সাংবাদিকদের বলেন, নদীরপাড়ের জায়গা সরকারের খাস জমি। কিন্তু পিআইসির সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ওই মাটিও কিনে আনছেন মফিজ মিয়ার নিকট থেকে। মফিজ মিয়াকেও সেখানে পাওয়া যায়নি। পরে মফিজ মিয়ার ছেলে নবী হোসেন জানান তার বাবার মোবাইলটি বন্ধ আছে।
এ বিষয়ে পাউবো’র শাখা কর্মকর্তা আব্দুল কাইয়ুমকে ফোন করলে তিনি সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দেন।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, নদীর পাড় কেটে মাটি আনার কোনো সুযোগ নেই। যারা মাটি বিক্রি করছেন তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com