স্টাফ রিপোর্টার ::
সোমবার বেলা ১টা। সুনামগঞ্জের আশি ঊর্ধ্ব সাবেক সংসদ সদস্য ও হাসনরাজার প্রপৌত্র দেওয়ান শামসুল আবেদিন এনআইডি কার্ড নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালে। তিনি হাসপাতালে করোনা ভ্যাকসিনের জন্য রেজিস্ট্রেশন করছেন। পাশে দাঁড়িয়ে তার সঙ্গে খোশগল্প করছেন সিভিল সার্জন ডা. শামস উদ্দিন ও হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম। এই সময় দেখা গেল সদর হাসপাতালের করোনা ভ্যাকসিন কেন্দ্র থেকে টিকা দিয়ে বেরিয়ে আসছেন অসরপ্রাপ্ত সত্তরোর্ধ ব্যাংকার ও বিদ্যুৎসাহী ব্যক্তিত্ব মো. গোলাম কিবরিয়া ও বক্ষব্যাধি ক্লিনিকের চিকিৎসক ডা. অতনু ভট্টাচার্য্যরে বাবা অজয় ভট্টাচার্য্য (৭২)। এই পরিবারের সবাই ভ্যাকসিন নিয়েছেন। এভাবে সদর হাসপাতালে উৎফুল্ল চিত্তে প্রবীণদের ভ্যাকসিন নিতে দেখা গেল।
ভ্যাকসিন নিতে আসা অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা মো. গোলাম কিবরিয়া বলেন, আমি প্রথম দিনই নিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সমস্যার কারণে যেতে পারিনি। তাই আজ ভ্যাকসিন নিলাম। এমনভাবে দক্ষ স্বাস্থ্যকর্মীরা ভ্যাকসিন পুশ করেছেন শরীরে বুঝতেই পারিনি। তিনি সবাইকে রেজিস্ট্রেশন করে ভ্যাকসিন গ্রহণের আহ্বান জানান।
সাবেক এমপি দেওয়ান শামসুল আবেদিন বলেন, হাসপাতালে এসে দেখলাম আমার মতো বয়সী অনেকেই ভ্যাকসিন নিচ্ছেন। সংশ্লিষ্টরাও আন্তরিকতার সঙ্গে আমাদের সেবা দিচ্ছেন। পরিবেশটা ভালো লেগেছে। তিনি বিভ্রান্তি না ছড়িয়ে নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীকে রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে ভ্যাকসিন গ্রহণের আহ্বান জানান।
সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. রফিকুল ইসলাম বলেন, সোমবার দুপুর ২টার মধ্যে আমার হাসপাতালে ২০০ জন ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন। এর মধ্যে সত্তর ও আশি ঊর্ধ্ব ব্যক্তিও আছেন। তিনি বলেন, ভ্যাকসিন কেন্দ্রে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। তবে বৃদ্ধদের অফুরান প্রাণশক্তি দেখে ভালো লাগছে।
এদিকে সিভিল সার্জন ডা. শামস উদ্দিন জানিয়েছেন, প্রথম দিন ৬৭৯ জন করোনার ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন। ভালো সাড়া পড়েছে। দ্বিতীয় দিনও প্রবীণদের উপস্থিতি বেশি ছিল।